অবিকল তোমারই মতো।
সেই নাক সেই চোখ আয়ত কপাল –যেনো ওই মহাজন
কপালের উপরতলার মহাদেশ জুড়ে চুলের উল্টো
শোভন সাজ
চোখের চৌহদ্দি জুড়ে শৈল্পিক ভ্রূ-ওষ্ঠে মণ্ডিত গোঁফ
ঠোঁটের মাঝে দাঁতে চাপা ঘ্রাণময় চুরুটের পাইপ।
পাঞ্জাবি পরিহিত বিশাল বপু বজ্রকণ্ঠধারী তুমি প্রিয় বীর্যবান।
প্রাণময় চেতনার চৈতণ্যে মহাত্মন আন্দোলিত অহিংস কীর্তিমান।
দেখি হাওড়-বিলে-ঝিলে শ্রেণিহীন মনস্কতায় দেদীপ্য প্রেরণায়
বাধার পাহাড় ভাঙা কিংবদন্তি বীর নায়কের কদম চাপায়
উত্তপ্ত রাজপথ ভেঙে কীর্তিগাথার সেনাপতি গিরগিটি আমলা পাড়ায়
জাতিসত্তার বোলে দেখিতীব্র প্রতিকূলতায় তারুণ্যের দর্পিত প্রতিজ্ঞায়
দেখি উজ্জীবিত মানুষের অগ্নিগরিমায় চিতানো বুকে ক্ষুব্ধ শপথসভায়
পলোগ্রাউণ্ড,পল্টন,রেসকোর্স, রেলওয়ে, লালদীঘি হাটখোলা, শহীদ মিনারে
তর্জনিতোলা অমিত বিক্রমভরা বজ্রনিনাদে কাঁপানো পুরুষসিংহ।
মিছিলে মিছিলে জেরবার দেশে জালেমের মর্কট কর্কট হিংসায়
গৌরবদৃপ্ত মহানায়ক তুমি মহার্ঘ ইতিহাস স্রষ্টা ধ্রূপদকবি
সূর্যমুখি -করবির রক্তঝরা বনে রক্তজবার ঐতিহাসিক বৈশাখি গানে
পলাশের বৃষ্টিতে দেখি বারুদের মতো কৃষ্ঞচূড়ার গুপ্ত অভিমানে।
তোমাকে দেখি পুলিশের মকরজালে নির্ভীক বিপদের জটিল প্রহরে
দেখি প্রতিবাদ-প্রতিরোধ-গনগনে বিক্ষোভে মৃত্যুর বিভীষিকাময় ঘরে।
নির্ভয় দাঁড়িয়ে মহানায়কের ঔজ্জ্বল্যে বিজয় তিলক পরিহিত কাব্যিক
সৌন্দর্যের কঠিন নির্ভরতায় জনতার ধন্য ধন্য অপ্রতিরোধ্য সুন্দর।
শক্তি পাই দৈব দুর্বিপাকে-বেদনা-সংঘাতে-দুঃসময়ের তোড়ে
আনন্দ প্রবাহ তোমারই ইঙ্গিতে নতুন ভূমির মুক্ত চত্বরে।
রক্তের কবোষ্ঞতায় উত্থিত ভূমির তামাটে পরিবেশে
মহাকাব্যের মহানায়ক তুমি সামাজিক বাস্তবতায় বিধ্বস্ত দেশে।
তুমিই কী সেই রাজনীতির কবি? অবিকল তোমারই মতো-দেখি সদা সকাল -সন্ধ্যা- রাতে-সুখে -দুখে -সংগ্রামে
চেতনার নির্ভরতায় উদ্দীপিত দেশে ভালোবাসা শ্রদ্ধার উচ্চাঙ্গ প্রেমে।
পার্বতকন্ঠ নিউজ/এমএস