খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা উপজেলার হাফছড়ি ইউনিয়নের রহমত উল্লাহর স্ত্রীকে জয়নাল আবেদীন (লালটু) নামক এক ব্যক্তি ধর্ষন করার অভিযোগ এনে গুইমারা থানায় ২৩জুলাই ২০২২তারিখে, একটি মামলা হয়েছে। একই দিনে আসামি জয়নাল আবেদীন (লাল্টু) (৩৫)কে আটক করে গুইমারা থানা পুলিশ। ২৪ জুলাই ২০২২ সকাল সাড়ে ১০ টায় খাগড়াছড়ি আদালতে প্রেরণ করেছে তাকে।
অভিযোগে জানাযায়, গত ১মে ২০২২ গুইমারা উপজেলার ২নংহাফছড়ি ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের জোড়া খাম্বা এলাকার বাসিন্দা রহমত উল্লাহর স্ত্রী ঔষদ কিনার জন্য হাতিমুড়া বাজারে অবস্থান করে তৎক্ষনাত একই এলাকার বাসিন্দা জয়নাল আবেদীন তার ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল নিয়ে এসে তাকে বাড়ি যাবে কিনা জিজ্ঞাসা করলে সে বাড়িতে যাবে বলে গাড়িতে উঠে।
এক পর্যায়ে রাস্তার মাঝামাঝিতে মোটরসাকেলে সমস্যা হয়েছে বলে গাড়ি দাড়া-করিয়ে সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৭টার দিকে বাদী রহমত উল্লাহর স্ত্রীকে টানা-হেচ্রা করে জোর পূর্বক রাস্তার পাশেই এক কাঠাঁল বাগানে নিয়ে গিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে লাল্টু।
ধর্ষনের পর কাউকে কিছু বললে জানে মেরে ফেলবে এবং এলাকা থেকে চলে যাওয়ার হুমকি দেয়। একপর্যায়ে রহমত উল্লাহর স্ত্রী নিরুপায় হয়ে তার বাবার বাড়িতে চলে যায় বলে অভিযোগে উল্লেখ করে। কিছুদিন পরে রহমত উল্লাহ তার স্ত্রীকে বাবার বাড়ি থেকে নিয়ে আসলে আসামি জয়নাল আবেদীন লাল্টু, আবারো তাকে ধর্ষনের চেষ্ঠা চালায়। তাই ধর্ষীতা বাদী হয়ে গুইমারা থানায় একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করে যার মামলা নং-০২/২০ তারিখ ২৩/০৭/২০২২ইং, ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী ২০০৩) এর ৯ (১) তৎসহ ৪৪৭/৩২৩/৫০৬ ধারায় আনীত অভিযোগে আসামি জয়নাল আবেদীন লাল্টু, পিতা: মৃত জমির আলি কে গত ২৩জুলাই ২০২২ আটক করা হয়।
এবিষয়ে গুইমারা থানার অফিসার ইনর্চাজ মোহাম্মদ রশিদ জানান, রহমত উল্লাহর স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে আসামী জয়নাল আবেদীন কে আটক করে গুইমারা থানা পুলিশ, আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করে খাগড়াছড়ি আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে জয়নাল আবেদিন লাল্টু কে।