মগজে আগুন নিয়ে
ধ্যানমগ্ন এক ঋষি,
ঘােলাটে আঁধারে অহর্নিশ
খুঁজে বেড়ায় মুক্তির পথ।
যন্ত্রণায় আড়ষ্ট মনকে
শান্ত করতে পারঙ্গম হলেও,
অবচেতন মনে ধরা পড়ে যায়
নিজের কাছেই।
জ্বলন্ত নক্ষত্রের মতো
জ্বলজ্বলে চোখ বন্ধ করে,
কল্পচিলের জানায় প্রতিনিয়ত
বেঁচে থাকার কারণ খোঁজে।
হৃদয়াকাশে আহ্নিক গতির মতো
পাল্লা দিয়ে এগিয়ে যায়
এলোমেলো ভাবনাগুলো।
হঠাৎ অষ্পষ্ট অনুভূতির অস্তিত্বে
অজানা কোমলতা দেখা দেয়,
নীল পাহাড়ের ওপর চুপ করে বসে থাকা
দুরন্ত কাচের পাখি কথা বলে ওঠে।
তারপর…
জীবনের মানে খুঁজে পায় সেই ঋষি,
আলো-আঁধার মিলেমিশে
একাকার হয় পরাণ পিঞ্জিরায়।
ধূমকেতুর মতো ছুটে চলার পর
বৃষ্টির ছন্দে ঝড়ে পড়ে কষ্টের কথকতা,
উষ্ণ আলিঙ্গণে বুকের কাঁপুনি বাড়ে।
শিশির বিন্দুর মতো চকচকে স্বপ্নময়ী চোখে
শঙ্কার মেঘ কেটে জেগে ওঠে নতুন সকাল।
শৈশবের শিউলী প্রহরের মতো
স্নিগ্ধতায় ছেয়ে যায় চারপাশ,
জলাঙ্গীর ঢেউয়ের মাঝে
কিশোরীর হারিয়ে যাওয়া নূপুর
খুঁজে পাওয়ার আনন্দে
ঋষি চেঁচিয়ে ওঠে…
পেয়েছি… পেয়েছি…