চলতি বছরের দাখিল পরীক্ষায় ৭৪ দশমিক ৭ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। গতবার এই পাসের হার ছিল ৮২ দশমিক ২২ শতাংশ। এবার দাখিলে মোট জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬ হাজার ২১৩ জন। গতবার জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ১৫ হাজার ৪৫৭ পরীক্ষার্থী। এবার দাখিলে পাসের হার ও জিপিএ-৫ কমেছে।
শুক্রবার (২৮ জুলাই) সকাল ৯টায় গণভবনে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এসএসসি ও সমমানের ফলাফলের কপি হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা বোর্ডগুলো কর্মকর্তারা।
জানা গেছে, চলতি বছর মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিলে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন ২ লাখ ৮৫ হাজার ৮৭ জন।
বরিশাল বোর্ড : চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষায় বরিশাল বোর্ডে ৯০ দশমিক ১৮ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। এবার মোট জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬ হাজার ৩১১ জন। গতবার এই পাসের হার ছিল ৮৯ দশমিক ৬১ শতাংশ। গতবার জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ১০ হাজার ৬৮ জন পরীক্ষার্থী। বরিশাল বোর্ডে পাসের হার বেড়েছে। জিপিএ-৫ এর সংখ্যা কমেছে। চলতি বছর বরিশাল বোর্ড থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন ৯০ হাজার ১৬৯ জন শিক্ষার্থী।
যশোর বোর্ড : চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষায় যশোর বোর্ডে ৮৬ দশমিক ১৭ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। এবার মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ২০ হাজার ৬১৭ জন। গতবার এই পাসের হার ছিল ৯৫ দশমিক ১৭ শতাংশ। গতবার জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৩০ হাজার ৮৯৩ জন। যশোর বোর্ডে পাসের হার কমেছে। জিপিএ-৫ এর সংখ্যা কমেছে। চলতি বছর যশোর বোর্ড থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন ১ লাখ ৫৫ হাজার ৭৫৯ জন শিক্ষার্থী।
চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় গড় পাস করেছে ৮০ দশমিক ৩৯ শতাংশ শিক্ষার্থী। গতবার এই পাসের হার ছিলো ৮৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ। এবার মোট জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫৭৮ জন। গতবার জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ২ লাখ ৬৯ হাজার ৬০২ জন।
চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় মোট জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫৭৮ জন। গতবার জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ২ লাখ ৬৯ হাজার ৬০২ জন। এ বছর এসএসসি ও সমমানে গড় পাস করেছেন ৮০ দশমিক ৩৯ শতাংশ শিক্ষার্থী। গতবার এই পাসের হার ছিলো ৮৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
চলতি বছর এসএসসি ও সমমানে পরীক্ষায় ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনের ২০ লাখ ৭৮ হাজার ২১৬ জন পরীক্ষার্থী ছিল। এর মধ্যে ছাত্র সংখ্যা হচ্ছে ১০ লাখ ২৪ হাজার ৯৮০ জন, যা ৪৯.৩২ শতাংশ। ছাত্রী সংখ্যা হচ্ছে ১০ লাখ ৫৩ হাজার ২৪৬ জন, যা ৫০.৬৮শতাংশ।