• শনিবার, ০১ মার্চ ২০২৫, ০৬:২৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
আসন্ন পবিত্র রমজান মাসে বাজারে দ্রব্যমূল্য সহনীয় রাখতে বাজার মনিটরিং করছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত নবাবপুর ইউপি চেয়ারম্যান’র দায়িত্ব গ্রহণের ৩ বছর পূর্তিতে খতমে কুরআন ও দোয়া মাহফিল পানছড়িতে ৩ বিজিবির বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ পানছড়ি মরাটিলায় শ্রী শ্রী সার্বজনীন শিব মন্দিরে হরিনাম যজ্ঞ মহাউৎসব উদযাপন জমকালো আয়োজনে মানিকছড়ি ফুড হাউজ এন্ড মাস্টার মাইন্ড সিজন-২ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট সম্পন্ন খাগড়াছড়িতে মাহে রমজান আগমন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ জামাত ইসলামী’র স্বাগত র‍্যালি ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সমাবেশ অনুষ্ঠিত মহালছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে নবীন বরণ ও বিদায় সংবর্ধনা-২০২৫ অনুষ্ঠিত সারাদেশে চলমান ধর্ষণ, ছিনতাই ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রাঙামাটিতে প্রতিবাদ মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত গাছ সুরক্ষা অভিযান: পেরেক অপসারণে ইয়ুথ ভলেন্টিয়ার ফাউন্ডেশন সাজেক অদ্বিতী পাবলিক স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত খাগড়াছড়িতে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি’র অবহিত করণ সভা অনুষ্ঠিত ভাষা শহীদদের প্রতি পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ পিসিসিপি’র শ্রদ্ধাঞ্জলি

গোয়ালন্দ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে মৌসুমী ফল তরমুজ

সাইফুর রহমান পারভেজ,গোয়ালন্দ প্রতিনিধিঃ / ৩২৯ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ৫ এপ্রিল, ২০২২

গোয়ালন্দ উপজেলায় মৌসুমী রসালো ফল তরমুজ এখন কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা তাদের ইচ্ছামত দাম হাকিয়ে তরমুজ বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ ক্রেতা সাধারণের। নিন্ম আয়ের মানুষ হয়ত এ বছর তরমুজের স্বাদই নিতে পারবে না এমনটি মনে করছেন অনেকে।
পবিত্র মাহে রমজান মাসে রোজা পালন করলেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিগণ। রমজান এলেই বলা চলে বাঙালি প্রতিটি পরিবারেই ইফতারে থাকে হরেক রকমের মৌসুমী ফলের সমাহার। এবারের রমজানে মৌসুমী ফলের মধ্যে অন্যতম ফল হচ্ছে তরমুজ। সেই তরমুজর দাম এখন আকাশ ছোঁয়া। দাম বৃদ্ধির কারণে অনেক রোজাদার আজও তরমুজের স্বাদ কি তা নিতে পারেনি। বিগত বছর গুলোতে উপজেলার সর্বত্রই তরমুজের ছড়াছড়ি এবং পিচ হিসেবে বিক্রি হতে দেখা গেছে। অথচ এখন ৫ কেজির একটি তরমুজ কিনতে গুনতে হয় ২০০ থেকে ২২০ টাকার মত।
উপজেলার গোয়ালন্দ বাজার, দৌলতদিয়া বাজার, জামতলা বাজার, খানখানাপুর বাজার সহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কেজি দরে তরমুজ বিক্রি হচ্ছে। অনেক ক্রেতা এসে বিক্রেতার সাথে দাম নিয়ে রীতিমত বিবাদে জড়িয়ে পড়ছেন। আবার অনেক ক্রেতা যেহেতু কেজিতে বিক্রি হচ্ছে তাই কেটে ১ কেজি তরমুজ চাচ্ছে দোকানির কাছে, এ নিয়েও চলছে বাক বিতান্ড।
দিনমজুর গেদু সেক বলেন, রাজমিস্ত্রির কাজ করে দিন শেষে ৩শ টাকা পাই। এই রোজগারের টাকায় চাল ডাল, মাছ, শাক সবজি কিনলে আর টাকা থাকে না। তাই তরমুজ দেখে তার গায়ে একটু হাত বুলিয়ে চলে যাচ্ছি। ১টি তরমুজ ৫/৬ কেজি ওজন তার দাম হচ্ছে ২০০ হতে ২২০ টাকা। সারা দিন আয় করছি ৩শ টাকা, আমাদের পক্ষে তরমুজ কেনা কি সম্ভব ?
,, দিন শেষে যা আয় হচ্ছে কোন রকমে পরিবার পরিজন নিয়ে বেঁচে আছি। এই রোজগারে এ বছর তরমুজ খাওয়া সম্ভব হবে না।
বাজারে আসা রোজাদারসহ নানা শ্রেনী পেশার মানুষের প্রশ্ন তরমুজ কেজিতে বিক্রি হওয়ার কারন কি ? যে তরমুজ গত বছরও মানুষ পিচ হিসেবে কিনেছে, সেই তরমুজ এ বছর কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। কেজি ৫/১০ টাকা হলে সাধ্যের মধ্যে থাকাতো অথচ ৪০/৫০ টাকা কেজি দরে তরমুজ বিক্রি হতে দেখা গেছে। ভোক্তাদের প্রশ্ন এই টাকা কি প্রকৃত পক্ষে ওই চাষি, যে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে তরমুজ উৎপাদন করেছে তার পকেটে যাচ্ছে নাকি অন্য কারও পকেটে। কৃষকের তরমুজের ক্ষেত থেকে শুরু করে বাজারে বিক্রেতা পর্যন্ত যারা ভোক্তার পকেট খালি করে চলেছে তাদের খুজে বের করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তারা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ কয়েকজন খুচরা ব্যবসায়ী জানান, বড় ব্যবসায়ীরা তরমুজ পাইকারী বাজার হতে শ’ হিসেবে কিনে তা কেজিতে বিক্রি করছেন। আমরাও কেজিতে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি। বাজার মনিটরিং করলে কেজি কাহিনী উন্মোচন হবে বলে তারা মনে করছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ