মো.আলমগীর হোসেন,লংগদু(রাঙ্গামাটি)
দলীয় প্রভাব বিস্তার করে নিজ এলাকায় মাদকদ্রব্য, ব্যবসার নামে সাধারণ মানুষ থেকে লুটে খাওয়া, পরক্রীয়া করে অন্যর সংসার ভাঙ্গা এছাড়াও মেয়েদের সাথে নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলার আটারকছড়া ইউনিয়নের যুবলীগ নেতা ও আটারকছড়া ইউপির ৬ নং ওয়ার্ড মেম্বার রুস্তম আলী ওরফে রুপ চান মেম্বারের বিরুদ্ধে।
দলমত নির্বিশেষে এলাকাবাসী জানান,রুস্তম আলী রুপ চান মেম্বার ক্ষমতায় আসার পর যুবলীগের ওয়ার্ড সভাপতি পরিচয় দিয়ে, প্রভাব দেখিয়ে সাধারণ মানুষের সাথে খারাপ আচরণ করে আসছেন। তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বল্লেই নানা রকম হুমকি ধামকি দিয়ে থাকতেন। এছাড়াও তিনি ব্যবসার নামে তামাকের উপর টাকা লাগিয়ে, আগের দিনের মত নীল কড় আদায় করতেন বলে জানান এলাকাবাসী।
স্থানীয় সমাজ পতি, বাজার কমিটি ও শিক্ষিত সমাজ বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে তিনি পরকীয়া করে অন্যর সংসার ভাঙ্গছে। তাছাড়া দুইটি স্ত্রী থাকা সত্বেও তিনি আরো একটি মেয়ের সাথে পরকীয়া করতে গিয়ে আপত্তিকর ছবি ফেসবুকে শেয়ার করেছেন। যাহা স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের অন্তরে আঘাত করেছে।
এছাড়াও তিনি ইউপি সদস্য হিসেবে সাধারণ মানুষকে ভিজিডি কার্ড সহ বিভিন্ন সরকারী সহায়তা দেওয়ার নামে গ্রামের অবলা মানুষ থেকে বিভিন্ন উপায়ে অর্থ আত্মসাৎ করেন। লম্পট এবং চরিত্রহীন মেম্বারের পদত্যাগ করার আগ পর্যন্ত আমরা আইনী ভাবে লড়ে যাবো। সে দলীয় প্রভাব দেখিয়ে আমাদের গ্রামের অবলা মানুষদের দীর্ঘদিন যাবত অত্যাচার করে আসছে। আমরা এলাকাবাসী উপরোক্ত বিষয়ে শীঘ্রই তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ করবো এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে স্মারক লিপি প্রেরণ করবো। এছাড়াও লংগদু জোন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিকটও বিচার প্রার্থনা করেছি।। যার একটি কপি গণমাধ্যমে দেওয়া হয়েছে।
উপরোক্ত অভিযোগের বিষয়ে রুস্তম আলী রুপ চান মেম্বার জানায়, উপরোক্ত মাদক সহ অর্থ কেলেঙ্কারি বিষয় গুলো মিথ্যা। মেয়ে কেলেঙ্কারির বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই আপত্তিকর ছবি গুলো ২০১২/১৩ সালের। তখন আমরা এলাকার অনেকে মিলে আনন্দ ভ্রমণে যাই সেখানে, দুষ্টুমি করে এসব করা হয়েছিলো। এখনো আপনি আপনি নারী লোভী মনোভাব নিয়ে এলাকায় বিশৃঙ্খলা করেন? এবিষয়ে তিনি বলেন, এমন কোন কিছু আমি করিনা। আমার বিরুদ্ধে মানুষ অপপ্রচার করছে।
আটারকছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অজয় মিত্র চাকমা বলেন, রুস্তম আলী মেম্বার সম্পর্কে কিছু তথ্য আমি চেয়রাম্যান হিসেবে আমার নিকট আসছে। তার মধ্যে মেয়ে কেলেঙ্কারি মেয়ে লোভী বিষয়টি বারবার আসছে। তিনি বলেন আমার হাতে এখনো লিখিত অভিযোগ আসেনি, আসলে পরিষদের পক্ষ হতে ব্যবস্থা নিবো।
লংগদু থানার অফিসার ইনচার্জ হারুনুর রশিদ বলেন, যেহেতু আমাদের হাতে অভিযোগ আসেনি,আসলে আমাদের যদি ব্যবস্থা নেওয়ার মত অপরাধ থাকে তাহলে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিবো।
লংগদু উপজেলা ভাঃ নির্বাহী কর্মকর্তা (ভূমি) কফিল উদ্দীন বলেন, উক্ত বিষয় সম্পর্কে এখনো জানতে পারিনি। তবে অভিযোগ আসলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।