দুটি কিডনি নষ্ট, লিভার অনেকটা ফুলে গেছে। অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না মো. বাচ্চু শেখ (৩৮)। সমাজের বিত্তশালীদের নিকট হাত বাড়িয়েছেন বাঁচার আকুতি নিয়ে। বর্তমানে তিনি অধ্যাপক ডাঃ মো. সাকিব উজ্জামান আরেফিন কিডনী ফাউন্ডেশন হসপিটাল এন্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট, ঢাকা এর অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
চিকিৎসক জানিয়েছেন, তার দুটি কিডনি নষ্ট হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে দ্রুত ডায়ালাইসিস সহ কিডনি প্রতিস্থাপন ট্রান্সপ্ল্যান্ট করার পরামর্শ দিয়েছেন। তবেই বাঁচতে পারে বাচ্চু। এ জন্য প্রয়োজন ১২-১৫ লক্ষ টাকা যা অসহায় পরিবারটির পক্ষে যোগাড় করা অসম্ভব।
তার পরিবার জানিয়েছে, মো. বাচ্চু শেখের চিকিৎসায় ইতোমধ্যে মাঠে যতটুকু জমি ছিলো তা বিক্রি করে চিকিৎসা করান। ২০২১ ইং সালের জুলাই মাসে ফরিদপুর থেকে টেষ্ট করানোর পর দুটি কিডনি নষ্ট ধরা পড়ার পর থেকে চিকিৎসা করিয়েছেন। এখন শেষ সম্বল হিসাবে তার বাড়ির ৪-৫ শতাংশ জায়গাই রয়েছে। তাদের এই অসহায় পরিবারের পক্ষে চিকিৎসার এতো টাকা যোগার করা সম্ভব নয়। তাই সমাজে বিত্তশালী, ধনবান ব্যাক্তিদের কাছে আর্থিক সাহায্য কামনা করেছেন।
জানা যায়, রাজবাড়ীর জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার ছোট ভাকলা ইউনিয়নের ছোট ভাকলা পূর্ব অংশ গ্রামের মো. কাশেম আলীর শেখের ছেলে মো. বাচ্চু শেখ (৩৮)। তার পরিবারে দুটি মেয়ে রয়েছে। বড় মেয়েটি স্থানীয় একটি স্কুলে দ্বিতীয় শেণীতে পড়াশোনা করেন এবং ছোট মেয়েটির বয়স ৪ বছর। তিনি পেশায় একজন কৃষক ছিলেন। অসুস্থতার কারনে গত ২ বছর যাবত কোন কাজ করতে পারেন না।
বাচ্চু সম্পর্কে তার প্রতিবেশীরা জানান, সে একজন ভালো লোক। বছর দুয়েক আগে তার দুটি কিডনি নষ্ট হয়েছে সেটা ধরা পড়ে। সে অত্যন্ত বিনয়ী, ভালো ছেলে। হঠাৎ করে তার এমন রোগ ধরা পড়ল, যা সত্যিই দুঃখজনক। তার মাঠে যতটুকু জমি ছিলো সেটা বিক্রি করে সর্বত্র চিকিৎসা করিয়েছে। এখন আর তার সামর্থ্য নাই চিকিৎসা করার। সমাজের বিত্তবানদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়ার জন্য অনুরোধ করছি।
স্ত্রী মোছাঃ ইতি আক্তার বলেন, ঘরে এমন কিছু নেই যে বিক্রি করে তার চিকিৎসা করব। মাঠে যা ছিলো তা বিক্রি করে চিকিৎসা করাইছি। এখন বাড়ি টুকুর জন্য ৪-৫ শতাংশ জমিই আছে। প্রতিদিন ৩০০ টাকার ওষুধ ক্রয় করতে হয়। নিজের ছেলে-মেয়েদের ৩ বেলা খাবারই দিতে পারছি না, ওষুধ কিনব কোথা থেকে আর চিকিৎসাই বা করাবো কিভাবে? অনেক অভাবে আছি।
ছোট ভাকলা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. মোমিন মন্ডল বলেন, লোকটি খুবই দরিদ্র। টাকার অভাবে তার চিকিৎসা ব্যাহত হচ্ছে।
এ ব্যাপারে ছোট ভাকলা ইউপি চেয়ারম্যান মো. আমজাদ হোসেন বলেন, বাচ্চু ছেলেটি অনেক ভালো মনের মানুষ। আমি অল্প কয়েকদিন আগে শুনেছি ছেলেটির দুটি কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে। অসহায় পরিবারটির পক্ষে চিকিৎসা ব্যয় নির্ভার করা সম্ভব নয়। আমি তার জন্য সাহায্যের চেষ্টা করব।
সাহায্য পাঠানোর জন্য: তার স্ত্রীর মোবাইল নম্বর- ০১৭৫৩১৪৩৮৩৯, বাচ্চুর ছোট ভাই : ০১৭৩৮১৩১৩০৫।
পার্বত্যকন্ঠ নিউজ/এমএস