রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার দূর্গম ৪ নং বড়থলি ইউনিয়ন। বিলাইছড়ি উপজেলা হতে ফারুয়া ইউনিয়ন হয়ে পায়ে হেঁটে এই ইউনিয়নে যেতে কমপক্ষে লাগবে ৪ দিন। আবার বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলার বগালেক হতে পায়ে হেঁটে যেতে লাগে ২ দিন। প্রথমবারের মতো বিলাইছড়ি উপজেলার কোন নির্বাহী কর্মকর্তার এই ইউনিয়ন পরিদর্শন।
সরকারের গণটিকা কার্যক্রম পরিচালনা করার উদ্যেশে বিলাইছড়ি স্বাস্থ্য বিভাগ একটি টিম মঙ্গলবার সকাল ৯. ৪৫ মিনিটে কাপ্তাই উপজেলার বিদ্যুৎ উৎপাদন এলাকার হেলিপ্যাড হতে বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারে রওনা করেছেন বিলাইছড়ির বড়থলি ইউনিয়ন এর উদ্যেশে।
এইসময় বিলাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো মিজানুর রহমান ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা রশ্মি চাকমার নেতৃত্বে ৩ জন স্বাস্থ্য কর্মী টিকাদান কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য এই টিমের সাথে যান। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা রশ্মি চাকমা জানান, ফারুয়া ইউনিয়নে গণটিকার প্রথম ডোজ দেয়া হলেও দুর্গমতার কারণে বড়থলি ইউনিয়নে টিকা দেয়া সম্ভব হয়নি। মঙ্গলবার (১০ আগষ্ট) দূর্গম বড়থলি ইউনিয়নে ৬শ জনকে এই গণটিকা প্রদান করা হবে। টিকাদান কার্যক্রমের পাশাপাশি বিলাইছড়ি স্বাস্থ্য বিভাগ হতে চিকিৎসা সেবা এবং ইপিআই কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীও নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানান।
বিলাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মিজানুর রহমান জানান, ইতপূর্বে বড়থলি ইউনিয়নের মানুষের সুবিধা অসুবিধা সচক্ষে দেখার জন্য ও ইউনিয়নের প্রকল্প সমুহ সরজমিন পরিদর্শনের জন্য একাধিক বার উদ্যোগ নিয়েও দূর্গমতা এবং নিরাপত্তা সহ বিভিন্ন কারনে সেখানে যাওয়া সম্ভব হয় নাই।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের বিশেষ উদ্যোগে গণটিকাদান কার্যক্রম সফল করার জন্য প্রথমবারের মতো এই ইউনিয়নে যেতে পারছি।