• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৩১ অপরাহ্ন
শিরোনাম
ডা. শাহিনের প্রচেষ্টায় খুলনা বিভাগে প্রথম মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বৃষ্টির প্রত্যাশায় গোয়ালন্দে ইস্তেস্কা নামাজ আদায় লামায় চাঁদা আদায়কালে অস্ত্র সহ যুবক আটক বাঙ্গালহালিয়াতে সুধীর বিশ্বাসের মৃত্যুতে বিভিন্ন মহলের শোক প্রকাশ কাপ্তাই থানা পুলিশ এর অভিযানে গ্রেফতারি পরোয়ানা ভুক্ত আসামি নরসিংদী হতে  আটক বাংলাদেশের অনগ্রসর ত্রিপুরা জাতির উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে বাত্রিকস- হিরন জয় ত্রিপুরা পেনশন স্কিমে সুবিধাভোগীর সম্পৃক্ততা বাড়াতে কাজ করছে মানিকছড়ি প্রশাসন মানিকছড়িতে অবৈধ বালু উত্তোলন করায় অর্ধ লাখ টাকা জরিমানা বান্দরবানে বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ আদায় কাপ্তাইয়ে তথ্য আপার উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত

লামায় মধ্যরাতের আগুন কেড়ে নিল তিন নৃ-গোষ্ঠী পরিবারের সর্বস্ব

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, নিজস্ব সংবাদদাতা, লামা: / ৬৮১ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২০

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, নিজস্ব সংবাদদাতা, লামা:
আগুনে পুড়ে ঘরের শেষ চিহ্নটুকুও আর নেই। যেখানটায় ঘর ছিল সেখানে পড়ে কিছু পোড়া টিন ও ছাই। এর পাশেই ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে কয়েকটি আগুনে পোড়া ঝলসানো জিনিসপত্র। পোড়া ঘরের মধ্যে নির্বাক বসে আছেন ৭০ বছর বয়স্ক জুমচাষী চাবাঅং মার্মা। মধ্যরাতের আগুনে পুড়ে গেছে তাঁর সংসার। স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে এই ঘরে থাকতেন তিনি। এখন কোথায় যাবেন দিশা খুঁজে পাচ্ছেন না তিনি।

বৃহস্পতিবার দুপরে বান্দরবানের লামা উপজেলার রূপসীপাড়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের টিয়ারঝিরি মার্মা পাড়ায় গিয়ে এ চিত্র দেখা যায়। গত বুধবার দিবাগত রাতের সাড়ে ১০টায় আগুনে পুড়ে গেছে পাড়ার তিনটি পরিবারের সবকিছু। টিয়ারঝিরি উপরের মার্মা পাড়ার ১৯টি ঘরের মধ্যে তিনটি মাঁচাং ঘর পুড়ে শেষ। আগুন দেখে পাড়ার সবাই এগিয়ে এসে পানি ও বালি দিয়ে চেষ্টা করে বাকী ঘর গুলো আগুন থেকে রক্ষা করে।
আগুনে পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলো হল, চাবাঅং মার্মা (৭০) পিতা- মৃত ¤্রাথুই অং মার্মা, মংচিং থোয়াই মার্মা (৪৫) পিতা- চাবাঅং মার্মা ও মংক্যও মার্মা (২৫) পিতা- মংচিং থোয়াই মার্মা। সকলে একই পাড়ার বাসিন্দা। প্রতিটি ঘরে এক-একটি পরিবার থাকত। সকলে কৃষিকাজ ও জুম চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে।

মংচিং থোয়াই মার্মা বলেন, সারাজীবন ধরে তিল তিল করে জমানো সব সঞ্চয় আর গৃহস্থালি পণ্য এক রাতের আগুনে পুড়ে গেছে। বিলাপ করতে করতে বলেন, ‘কিছুই নিয়ে বের হতে পারিনি। এক কাপড়ে ঘরের সবাই বের হয়ে এসেছি। ঘরের মধ্যে মালামাল, ফার্ণিচার, সারাবছরের জমানো ধান সহ যা ছিল সব পুড়েছে। একজীবনে জোগাড় করা জিনিসপত্র আধা ঘণ্টার মধ্যে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।’

স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুল মন্নান বলেন, উপরের পাড়ায ১৯টি পরিবার বাস করে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের তালিকা করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সহায়তা দেওয়া হবে।

রূপসীপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ছাচিং প্রু মার্মা বলেন, পাড়াটি অনেক দুর্গম এলাকায়। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার তিনটিকে আপাতত ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ১০ কেজি চাউল, ডাল, তেল, মরিচ, পেয়াজ ও ২টি কম্বল দেয়া হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। দুর্গম এলাকা হওয়ায় সেখানে ফায়ার সার্ভিস যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। গভীররাতে আগুন লাগায় কি কারণে আগুনের সূত্রপাত তা জানা যায়নি। তবে চুলার আগুন থেকে হতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে।

লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রেজা রশীদ বলেন, ‘স্থানীয় মেম্বারকে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের তালিকা দিতে বলেছি। জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁদের ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হবে।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ