বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য হিরন জয় ত্রিপুরা বলেন, ঐক্য, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও প্রগতি’ এই চারটি মূলনীতিকে বুকে ধারণ করে ১৯৬৫ সালে বাত্রিকস প্রতিষ্ঠা লাভ করে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারা বাংলাদেশের অনগ্রসর ত্রিপুরা জাতির উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে এই সংগঠন। জাতির কল্যাণে ও দেশের উন্নয়নে একতাবদ্ধ হয়ে সকলকে কাজ করার আহবান জানান তিনি।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরের দিকে বাংলাদেশ
ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদ, মাটিরাঙ্গা আঞ্চলিক শাখার ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল ও সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাত্রিক’স মাটিরাঙ্গা আঞ্চলিক শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জ্যোতি ত্রিপুরার সঞ্চালনায় এবং বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদ মাটিরাঙ্গা আঞ্চলিক শাখার সভাপতি ভাগ্যধন ত্রিপুরা সভাপতিত্ব করেন।
কাউন্সিলের উদ্বোধন করেন বাত্রিকস’র কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক স্নেহাশিস ত্রিপুরা মিঠু। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন
মাটিরাঙ্গা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হেমেন্দ্র ত্রিপুরা, বাত্রিকস’র কেন্দ্রীয় কমিটির
যুগ্ন সাংগঠনিক সম্পাদক, কাজল বরণ ত্রিপুরা ও বাত্রিকস’র কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক প্রমোদ বিকাশ ত্রিপুরা প্রমুখ।
ত্রিপুরা জনগোষ্ঠির কৃষ্টি ও সংস্কৃতি রক্ষায় সকলকে একসাথে কাজ করার আহবান জানান
বাত্রিকস’র কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক স্নেহাশিস ত্রিপুরা মিঠু।
দ্বিতীয় অধিবেশনে কীর্তিভূষণ ত্রিপুরাকে সভাপতি, মলেন ত্রিপুরা সাধারণ সম্পাদক এবং শয়ন ত্রিপুরাকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে আগামী তিন বছরের জন্য বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদ মাটিরাঙ্গা আঞ্চলিক শাখার কমিটি ঘোষণা করা হয়।
এর আগে জাতীয় পতাকা ও সংগঠনের পতাকা উত্তোলনেরর মাধ্যমে ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল ও সাধারণ সভার উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথিসহ আমন্ত্রিত অতিথিববৃন্দ।
এসময়, গোলাবাড়ির চেয়ারম্যান উল্লাস ত্রিপুরা,
অযোধ্যা মৌজার হেডম্যান জয়া ত্রিপুরা, সাবেক প্রধান শিক্ষক তপ্ত বিকাশ ত্রিপুরা ছাড়াও বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদ, ত্রিপুরা যুব কল্যান সংসদ ও ত্রিপুরা স্টুডেন্টস ফোরামের নেতৃবৃন্দ সুশীল সমাজ, হেডম্যান, কার্বারীসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।