লামায় পারভীন আক্তার (২৪) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে লামা থানা পুলিশ। উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের অংশা ঝিরি এলাকায় শুক্রবার (০৩ জুন) সকাল ১০টায় পুলিশ নিজ বাড়ি থেকে লাশটি উদ্ধার করে।
নিহত পারভীন আক্তার অংশা ঝিরি এলাকার মোঃ আবচার এর স্ত্রী। নিজ ঘর থেকে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে ইউপি মেম্বার হেলাল উদ্দিন বলেন, স্থানীয়রা এই ঘটনায় সন্দেহভাজন নিহতের স্বামী মোঃ আবচার কে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে।
লামা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মোল্লা রমিজ জাহান জুম্মা বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি মারফত খবর পেয়ে আমরা সকালে গৃহবধূর লাশটি উদ্ধার করি। লাশের সুরতহাল করা হয়েছে। কিছুক্ষণ পরে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য বান্দরবান জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে।
ইউপি মেম্বার হেলাল উদ্দিন আরো বলেন, রাত ১২টায় নিহতের স্বামী মোঃ আবচার আমাকে ফোন করে। সে বলে কিছু লোকজন তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে তার স্ত্রীকে মেরে ফেলেছে। আমি (আবচার) ভয়ে ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড মালুম্যা আমার শশুর বাড়িতে চলে আসছি। আমি (ইউপি মেম্বার) আরো কয়েকজন লোক নিয়ে রাতে আবচারের বাড়িতে যাই। ওখানে কোন লোকজন দেখিনি। ঘরে দরজা বন্ধ ছিল ও ভিতরে বাচ্চা কান্নার আওয়াজ আসছিল। তখন আমরা দরজা ভেঙ্গে ঘরে ডুকে পারভীন আক্তারের লাশ ঝুলতে দেখি। পরে লোকজন দিয়ে নিহতের স্বামী আবচারকে আটক করি। সকালে পুলিশ আসলে পুলিশের হাতে লাশ ও আবচারকে তুলে দিই।
মেম্বার হেলাল বলেন, গত দুইদিন আগে পাশের বাড়ির তিন বছরের রিয়াদ নামে শিশুর লাশ পুকুরে পাওয়া যায়। সেই ঘটনায় শিশুটির পরিবার আবচার ও তার স্ত্রীকে দায় করে আসছিল। ধারনা করা হচ্ছে সে ঘটনার সাথে এই ঘটনার একটা যোগসূত্র থাকতে পারে।
ফাঁসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল হোসাইন চৌধুরী বলেন, আমরা চাই সঠিক তদন্ত পূর্বক মূল ঘটনা বেরিয়ে আসুক। অপরাধীর বিচার হোক।
এম/এস