খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়িতেও মহামারি কোভিড-১৯ পরিস্থিতি কিছুটা সামলে দীর্ঘদিন পরে আগামীকাল ১২ সেপ্টেম্বর রোজ রবিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসতে ভীষণ উৎসুক হয়ে সময় ক্ষণ পার করছে।
সারাদেশের ন্যায় মহালছড়ি উপজেলাতে সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী ৬২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৮টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কয়েকটি কলেজ, ইসলামিক ফাউণ্ডেশনের মসজিদভিত্তিক ও মাদ্রাসা ও মন্দির ভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে প্রতিদিনের ন্যায় ধারাবাহিক শ্রেনি পাঠাদান সম্পন্ন করার দৃঢ় সিদ্ধান্তে খোলা হবে।
বাজারের বিউটি টেইলার্সের মালিক তপন দেব বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার কোনো চাপ ছিল না। তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক সকল শিক্ষার্থীগণ ড্রেস না বানানোতে আমাদের মতো দর্জির আয় কমে গেছে। তবে কিছু অভিভাবকগণ পোশাক(স্কুল ড্রেস) তৈরিতে শিক্ষার্থী – অভিভাবকগণ বানাতে ব্যস্ত পার করছেন।
শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বললে তাঁরা জানান, প্রায় দেড় বছর ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। দীর্ঘদিন ধরে বসে থাকার কারণে স্বাস্থ্যের কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে।
অনেক শিক্ষার্থীর স্কুলের পুরোনো পোশাক এখন আর গায়ে লাগে না। অনেকের সাদা পোশাকের রং হলদে হয়ে গেছে। এতদিন অনলাইনে ক্লাস করার ক্ষেত্রে নতুন পোশাক প্রয়োজন হয় নি। পুরাতন জামা ছোট হয় বলে নতুন জামার অর্ডার দিতে হচ্ছে। তবে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট পোশাক পরার ক্ষেত্রে সাময়িক ছাড় রয়েছে।
মহালছড়ি শিশু মঞ্চ এনজি স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিশ্বজিৎ মজুমদার বলেন সরকারি ঘোষনা অনুযায়ী বিদ্যালয়ের ভেতর ও বাইরের পরিবেশ উপযুক্ত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। দীর্ঘদিন পরে সরকারের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার কথা শুনেই শিক্ষক/শিক্ষিকাগণ,অভিভাবক শিক্ষার্থী সবাই খুশিতে উৎসুক।
দীর্ঘদিন পরে মহালছড়ি উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জানান যে, সরকারী ঘোষণার পরেই উপজেলাধীন সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সকল প্রকার প্রস্তুতি গ্রহনের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। সেই নির্দেশনা কতটুকু বাস্তবায়ন হয়েছে, টিম গঠন করে প্রতিটি বিদ্যালয় পরিদর্শন করে শ্রেণি কার্যক্রম সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী সম্পন্ন করতে প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষিকাগণ দিকনির্দেশনা দেয়া হয়।
মহালছড়ি বাজারের ছাত্রবন্ধু লাইব্রেরির মালিক কালো বিকাশ চাকমা বলেন দীর্ঘদিন পরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলায় শিক্ষার্থীরা ও অভিভাবকগণ জ্যামিতি বক্স, ব্যাগ, খাতা কলম পেন্সিল, ফাইল কিনে নিচ্ছে।