• শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম
নদীর পাড়ে তামাক চাষ বন্ধে বিএটিবি’র কৃষক সমাবেশ আঞ্চলিক পরিষদ পুনর্গঠনের দাবিতে মানিকছড়িতে ইউপিডিএফের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ বান্দরবানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বই ও শিক্ষা উপকরণ উপহার প্রদান চাঁদার টাকা না দিলে হামলা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে -সন্ত্রাসী রকি গ্রুপ ১ যুগ পর মহালছড়ি গণতান্তিক উপায়ে বাজার ব্যবসায়ী কমিটি গঠন ওলামা বাজার মাদ্রাসার বিরুদ্ধে ফেসবুকে অপপ্রচারের প্রতিবাদে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের সংবাদ সম্মেলন সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে কাপ্তাই সেনা জোনের প্রীতি ভোজ  পরিষদ ভবণ নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবাদে মানিকছড়িতে সচেতন নাগরিক ফোরামের মানববন্ধন মাটিরাঙ্গায় প্রা‌ন্তিক কৃষক‌দে‌র মাঝে বিনামূ‌ল্যে সার ও বীজ বিতরণ চন্দ্রঘোনা খ্রীস্টিয়ান হাসপাতালে ২ দিনব্যাপী  দক্ষতা উন্নয়নের উপর কর্মশালা শুরু রাঙ্গামাটিতে ঘুষ-তদবির ছাড়া মেধার ভিত্তিতে ১৭ জন পেলেন পুলিশের চাকরি দাগনভূঞা সরকারি হাসপাতালে আস্থা ফিরেছে রোগীদের – ক্রমান্বয়ে বাড়ছে রোগী, কনসালটেন্ট ও জনবল সংকটে চরমে

লামার ইয়াংছা-ত্রিশডেবা সড়কের বেহালদশা- ২৭টি গ্রামের ১৫ হাজার মানুষ ভোগান্তিতে

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, বান্দরবান ব্যুরো প্রধান: / ২৯৭ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, বান্দরবান ব্যুরো প্রধান:

লামার ইয়াংছা-ত্রিশডেবা ১৩ কিলোমিটার এইচবিবি সড়কের বেহালদশা। খানাখন্দকে ভরা সড়কটির মাঝে মাঝে ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে এ সড়ক দিয়ে চলাচলকারী পথচারী ও যাত্রীদের ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। বর্ষাকালে কাঁদা-পানিতে রাস্তাটি ডুবে থাকায় যানবাহন তো দূরের কথা খালি শরীরের চলাফেরা করাও মুশকিল। এলাকাবাসী জানান, একটু বৃষ্টি হলেই খানাখন্দ ও কাঁদার কারণে ৩ ওয়ার্ডের ২৭টি গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার লোক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক কয়েকটি প্যাকেজে ২০০৯ সালে ইয়াংছা-ত্রিশডেবা ১৩ কিলোমিটার এই সড়কটি নির্মাণ করা হয়। তারপর কয়েকবার রাস্তাটি মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ হয়। স্থানীয়রা জানায়, মেরামত কাজের অনিয়ম ও এই সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত অবৈধ পাথর, গাছ, বালুর ট্রাক চলাচলের কারণে রাস্তাটি অক্ষত রাখা যাচ্ছেনা। প্রায় প্রতিবছরই মেরামত কাজ করে উন্নয়ন বোর্ড। ঠিকাদারদের লুটপাট ও অনিয়মের কারণে নিম্নমানের কাজ হওয়ায় সংস্কার করেও কোন লাভ হচ্ছেনা বলে জানায় এই এলাকার মানুষ।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ১, ২ ও ৯নং ওয়ার্ডের ঠান্ডাঝিরি, ছোট পড়া, বড় পাড়া, বনপুর বাজার, গয়ালমারা, রাজাপাড়া, ওয়াক্রা পাড়া, রামগতি, মহেশখালি পাড়া, ত্রিশডেবা সহ ২৭টি গ্রামের জনসাধারণ এই রাস্তায় যাতায়াত করে। দীর্ঘদিন যাবৎ সংস্কারের অভাবে বেহালদশা সড়কটির।

বড় মার্মা পাড়ার বাসিন্দা ও ৯নং ওয়ার্ডের ইউ.পি সদস্য আপ্রুচিং মার্মা বলেন, আমরা পুরোপুরি অসহায়। এ রাস্তার সংস্কার কাজ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও কোনো এক অজানা কারনে তা শুরু হচ্ছে না। রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে। রাস্তা নষ্ট হওয়ায় মাল ও যাত্রীবাহী পিকআপ, জীপ সিএনজি, মোটর সাইকেল সহ আরো অনেক গাড়ি যাতায়াত করতে পারছেনা। কতদিন এলাকাবাসীর এই ভোগান্তি সহ্য করতে হবে জানিনা।

ইয়াংছা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মফিজ বলেন, এসাইনমেন্ট সহ নানা কাজে স্কুলে কলেজ মাদ্রাসার শত শত ছাত্র-ছাত্রী যাতায়াত করতে হয়। কিন্তু রাস্তার বেহাল অবস্থা সৃষ্টি হওয়ায় প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। এতে যাতায়াতকারীরা পরছে চরম ভোগান্তিতে। এদিকে দীর্ঘদিন এই রাস্তা সংস্কার না হওয়ায় একাধিক লোক ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। অসংখ্য গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় স্বল্প সংখ্যক গাড়ী চলাচল করায় নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে ওই এলাকার মানুষদের। ফাঁসিয়াখালী ইউপির জনসাধারণ বলেন, উক্ত রাস্তা সংস্কারের দাবীতে উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করছি।

ইয়াংছা-ত্রিশডেবা বেহাল সড়ক নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড বান্দরবানের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বিন মোহাম্মদ ইয়াছির আরাফাত বলেন, বর্ষা শেষে সড়কটি সংস্কার করা হবে। কয়েকদিন আগেও সংস্কার করা হয়েছিল সড়কটি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ