রাঙামাটির সাংবাদিকরা সকল ভেদাভেদ ভুলে এক সাথে পথ চলায় একমত হয়েছে। শুক্রবার জেলার সিনিয়র সাংবাদিক সুশীল প্রসাদ চাকমা ও নন্দন দেবনাথসহ সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ রাঙামাটি প্রেসক্লাবে এসে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এ সময় তাৎক্ষণিকভাবে এক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে নবগঠিত প্রেসক্লাব বিলুপ্তির ঘোষণা দিয়ে তারা মূল প্রেসক্লাবের সাথে সংহতি প্রকাশ করেন।
মত বিনিময়শেষে রাঙামাটি প্রেসক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আল হকসহ প্রেসক্লাবের উপস্থিত সদস্যরা সাংবাদিক সুশীল প্রসাদ চাকমা এবং নন্দন দেবনাথসহ উপস্থিত সাংবাদিকদের মিষ্টিমুখ করান। এসময় উভয় নেতৃবৃন্দ পরস্পরকে মিষ্টি খাইয়ে তাদের সকল ভেদাভেদ ভুলে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
সংক্ষিপ্তত মত বিনিমময় সভায় সাংবাদিক সুশীশল প্রসাদ চাকমা বলেন, সাংবাদিকরা সকলেই পরস্পরের ভাই, ঐক্যের উদ্দেশ্য নিয়েই আমরা নতুন একটি প্রেসক্লাব গঠন করেছিলাম। কিন্তু ইতোমধ্যে রাঙামাটি প্রেসক্লাব নতুন করে ১৬জন সাংবাদিককে প্রেসক্লাবের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করে উদারতার পরিচয় দিয়েছে। আমরা আশা করি এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, রাঙামাটির সাংবাদিক সমাজ এখন নতুন করে আবারও ঐক্যবদ্ধ হয়েছে, তাই একই নামে রাঙামাটিতে আর একটি প্রেসক্লাব রাখার আর কোনো প্রয়োজনীয়তা বা যৌক্তিকতা নেই। বক্তব্যে তিনি নতুন প্রেসক্লাব বিলুপ্ত করার ঘোষণা দিয়ে বলেন, আমরা এখন থেকে পারস্পরিক ভেদাভেদ ভুলে একসাথে পথ চলবো। এবং তৃতীয় কেউ যাতে সাংবাদিকদের ঐক্য বিনষ্ট করতে না পারে সেদিকে লক্ষ রাখবো।
এ সময় নব গঠিত প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নন্দন দেবনাথ বলেন, আমরা চাইনা সাংবাদিকদের মাঝে কোনো অন্তর্কোন্দল থাকুক। সব ভুলে আমরা আগের মতই সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে নিজেদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করে যাবো।
প্রেসক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল বলেন, সাংবাদিকরা বুদ্ধিবৃত্তিক পেশায় জড়িত, তারা নিজেরা নিজেদের মর্যদা ভালোভাবেই বুঝে। আমাদের বিষয় আমরা নিজেদের উদ্যোগে সমাধান করে আজ প্রমাণ করতে পেরেছি যে, সাংবাদিকরা প্রকৃতপক্ষে বাস্তববাদী।
তাৎক্ষনিক এ মত বিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আল হকসহ, সাংবাদিক মোহাম্মদ আলী, অলি আহমেদ, ফজলুর রহমান রাজন, কামাল উদ্দীন, হেফাজত উল বারী সবুজ, মনসুর আহমেদ, শান্তিমময় চাকমা, উড়াল মনি চাকমা হিমেল, মোঃ হান্নান, আলমগীর মানিক, ফাতেমা জান্নাত মুমু, সাধন বিকাশ চাকমা ও জিয়াউর রহমান জুয়েল।