আরিফুর রহমান স্বপন, লাকসাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি : নোয়াখালী-কুমিল্লা-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কের লাকসাম বাইপাসসহ দৌলতগঞ্জ বাজারের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক রাখতে ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব পালন করছেন ছাত্ররা। গত তিনদিন ধরে এসব দায়িত্ব পালন করে আসছে তারা।
গত মঙ্গলবার থেকে রাস্তা পরিস্কারসহ যানচলাচল স্বাভাবিক রাখতে ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব পালন করে আসছেন ছাত্ররা। বৃহস্পতিবারও লাকসামের সবকটি সড়কে এই চিত্র দেখা গেছে। লাকসাম নওয়াব ফয়জুন্নেসা সরকারি কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীসহ রোভার স্কাউট, বিএনসিসি এবং বিভিন্ন স্কুল কলেজের ছাত্ররা ওই কাজে অংশগ্রহণ করেন। এতে ট্রাফিক পুলিশের অনুপস্থিতিতেও স্বস্তি ফিরে আসে সড়কে। এছাড়াও ছাত্ররা লাকসাম দৌলতগঞ্জ বাজারের সকল ব্যবসায়ীদের দোকানপাট খুলতে এবং নির্বিঘ্নে ব্যবসা পরিচালনা করতে তারা সকল প্রকার নিরাপত্তা প্রদানের আশ্বাস দেন। এমন আশ্বাসের ফলে ব্যবসায়ীদের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসলে বুধবার থেকে ব্যবসা বাণিজ্য স্বাভাবিক হতে শুরু করলে ব্যবসায়ীরা তাদের দোকানপাট খোলেন।
এদিকে বৃষ্টিতে ভিজে সড়কে এবং বাজারে শৃঙ্খলায় নিয়োজিত ছাত্রদের মাঝে রেইনকোট বিতরণ করেন আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে গুম হওয়া লাকসাম পৌরসভা বিএনপির সভাপতি হুমায়ুন কবির পারভেজের ছোট ভাই যুবদল নেতা গোলাম ফারুক ও হুমায়ুন কবির পারভেজের ছেলে শাহরিয়ার কবির।
ছাত্রদের মাঝে রেইনকোট বিতরণকালে এক প্রশ্নের জবাবে
যুবদল নেতা গোলাম ফারুক বলেন, ছাত্ররাই হচ্ছে এদেশের প্রান। ছাত্রদের আন্দোলনে আজ মুক্ত বাংলাদেশ। ট্রাফিক পুলিশের কষ্টসাধ্য যে কাজ, আজ তারা সেটি পালন করছেন। বৃষ্টির মধ্যে ছাত্ররা যাতে নিরলসভাবে ও স্বস্তিতে কাজ করতে পারে সেজন্য আমরা ব্যক্তিগতভাবে ছাত্রদের মাঝে রেইনকোট বিতরণ করেছি। লাকসামের বিভিন্ন স্থানে হামলা ভাংচুর লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ বিষয়ে তিনি বলেন, যারা এসব সহিংসতার সঙ্গে জড়িত তাদের প্রতিহত করা হবে। বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে একদল দুর্বৃত্ত বিভিন্ন বাড়িঘর, দোকানপাট ভাংচুর ও লুটপাট করেছে, তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা এবং ভবিষ্যতে এসব কার্যকলাপ করতে দেয়া হবেনা। এজন্য সবাইকে সজাগ থাকার আহবান জানিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান তিনি।