• শনিবার, ০১ মার্চ ২০২৫, ১১:২০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
আসন্ন পবিত্র রমজান মাসে বাজারে দ্রব্যমূল্য সহনীয় রাখতে বাজার মনিটরিং করছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত নবাবপুর ইউপি চেয়ারম্যান’র দায়িত্ব গ্রহণের ৩ বছর পূর্তিতে খতমে কুরআন ও দোয়া মাহফিল পানছড়িতে ৩ বিজিবির বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ পানছড়ি মরাটিলায় শ্রী শ্রী সার্বজনীন শিব মন্দিরে হরিনাম যজ্ঞ মহাউৎসব উদযাপন জমকালো আয়োজনে মানিকছড়ি ফুড হাউজ এন্ড মাস্টার মাইন্ড সিজন-২ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট সম্পন্ন খাগড়াছড়িতে মাহে রমজান আগমন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ জামাত ইসলামী’র স্বাগত র‍্যালি ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সমাবেশ অনুষ্ঠিত মহালছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে নবীন বরণ ও বিদায় সংবর্ধনা-২০২৫ অনুষ্ঠিত সারাদেশে চলমান ধর্ষণ, ছিনতাই ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রাঙামাটিতে প্রতিবাদ মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত গাছ সুরক্ষা অভিযান: পেরেক অপসারণে ইয়ুথ ভলেন্টিয়ার ফাউন্ডেশন সাজেক অদ্বিতী পাবলিক স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত খাগড়াছড়িতে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি’র অবহিত করণ সভা অনুষ্ঠিত ভাষা শহীদদের প্রতি পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ পিসিসিপি’র শ্রদ্ধাঞ্জলি

কচু চাষে সফল হচ্ছে মানিকছড়ির কৃষকরা

মো. রবিউল হোসেন, মানিকছড়ি (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি: / ৩৭২ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ৫ আগস্ট, ২০২১

পার্বত্য চট্টগ্রাম খাগড়াছড়িতে বেশ কয়েক রকমের কচু চাষ হয়। তবে গত এক দশকে বাণিজ্যিক সম্ভাবনার হাত ধরে বিকশিত হয়েছে কচুমুখী বা ছড়া কচু। তারই ধারাবাহিকতায় খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ির অনাবাদি পাহাড়ি পতিত জমিতে কচু চাষীরা আবাদকৃত কচু ক্ষেতের আগাছা পরিস্কার ও পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছে।

উপজেলার ডলু এলাকার কচু চাষী জাহাঙ্গীর আলম জানান, প্রতি কানি (৪০ শতক) জমিতে ৫ মন বীজ কচু ছড়া লাগাতে হয়। পাহাড়ি জমিতে হাল চাষ হয় না, তাই দৈনিক মজুর দিয়ে কোদাল দিয়ে মাটি কুপিয়ে জমি তৈরী করন, চারা গজানোর পর গাছের গোড়ায় মাটি ও সার বিষ প্রয়োগ মিলিয়ে প্রতি কানিতে প্রায় ২০ হাজার টাকা খরচ হয় ফলন ভালো হলে কানি প্রতি ৭০ থেকে ৮০ মন ছড়া কচু উত্তোলন সম্ভব। আবহাওয়া ও যোগাযোগর সাথে বাজার দর ভালো হলে দামেও ভালো পাওয়া যায়। এতে ৬ মাসের কষ্টের হাসিটা হাসতে পারি।

এটি সমতলেও জন্মে তবে পাহাড়ের ঢালু জমিতে কচু চাষ করে সফল হয়েছে চাষীরা। উপজেলার তিনটহরী বড়টিলা, যোগ্যাছোলা, গাড়িটানা, কালাপানি, ছদুরখীল, খাড়িছড়া, বাটনাতলী এলাকায় কচুমুখী আবাদ বেশি। পাহাড়ের মাটির উর্বরতা কারণে এই কচুর ফলন ভালো। পাহাড়ে যে কচুমুখী চাষাবাদ হয় তা সমতলের তুলনায় বড় ও মানে উৎকৃষ্ট। পাহাড়ের স্থানীয় বাসিন্দাদের চাহিদা মিটিয়ে এই কচু দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাঠানো হয়।

স্থানীয়রা কৃষকরা জানান, মৌসুমে ধান ও অন্যান্য সবজি চাষের পাশাপাশি মানিকছড়িতে কয়েক হাজার কৃষক পাহাড়ের ঢালুতে কচুমুখী চাষ করছে। এতে অনেকে আর্থিক সচ্ছলতা পেয়েছে। অন্যান্য ফসলের তুলনায় কচুমুখী চাষে আয় বেশি। ছোট পাহাড়ের টিলায় এর ফলন বেশি হয়। লাভজনক হওয়ায় দিন দিন কচুমুখী চাষের পরিধি বাড়ছে। কচু চাষে লাভও বেশি। এতে পোকার আক্রমণ কম তাই উৎপাদন ব্যয় বেশ সাশ্রয়ী।তাই পতিত পাহাড়ে কচু চাষে আগ্রহ বেশী।

কচু চাষী ও মৌসুমি ব্যবসায়ী আবুল কালাম জানান, প্রতিবছর মৌসুমে উপজেলার মানিকছড়ি, তিনটহরী, যোগ্যাছোলা ও বাটনা বাজার থেকে কচুমুখী কিনে ঢাকা চট্টগ্রামে পাঠানো হয়। পাহাড়ের কচু তুলনামূলকে স্বাদ ও মানে ভালো। তাই এর কদরও বেশি। পোকা ও রোগবালাই তেমন না থাকায় খরচ কম সে কারনেই স্থানীয় কৃষক কচুমুখী চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাসিনুর রহমান বলেন, কচুমুখী লাগানোর প্রায় ৬ মাস পর ফলন পাওয়া যায়। পাহাড়ের ঢালু অংশে এর আবাদ করা হয়। গাছের গোড়া থেকে গুঁড়িকন্দ থেকে উৎপন্ন হয়। মানিকছড়ির সব পাহাড়ি এলাকা গুলোতে মুখী কচুর চাষ হয়। চৈত্র মাসের শুরুতেই পাহাড়ের আগাছা পরিস্কার করে মাটি কুপিয়ে চাষ যোগ্য করে তোলা হয়। এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে প্রথম বৃষ্টি হলেই মাটিতে কচুর বীজ বপন করা হয় সেপ্টেম্বর মাসের শুরু থেকে মুখী কচু জমি থেকে উত্তোলন ও বিক্রি শুরু হয়। আমি প্রতিটি এলাকায় উপ সহকারি কৃষি কর্মকর্তাদের কৃষক/চাষীদের প্রতিটি ফসলের সঠিক পরামর্শ দেওয়ার জন্য মাঠে থেকে কাজ করার জন্য বলি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ