সাংবাদিকতার নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজির অডিও কল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া “দি ডেইলি অবজারভার” এর রাঙামাটি প্রতিনিধি ইমতিয়াজ কামাল ইমনকে নবসৃষ্ট রাঙামাটি প্রেসক্লাব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। সোমবার সংগঠনটির সভাপতি সুশীল প্রসাদ চাকমা স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
সুশিল প্রসাদ চাকমা জানান ইমতিয়াজ কামাল ইমনকে আমাদের নবগঠিত রাঙামাটি প্রেসক্লাবের সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাঙামাটির বিভিন্ন সাংবাদিকদের নামে যে সকল আপত্তিকর লেখালেখি করছে তা আমারা মেনে নিতে পারি না। তাই তাকে আমাদের সংগঠন থেকে অব্যাহতি দেয়া হয় ।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শাওন নামের এক কাঠ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের কথপোকথনের একটি অডিও কল রেকর্ড ভাইরাল হয়। ওই অডিও কলে ইমতিয়াজ কামাল ইমনকে বাংলাভিশন চ্যানেলের রাঙামাটি প্রতিনিধি নন্দন দেবনাথের পক্ষে চাঁদা আদায়ের সমন্বয়কারীর ভূমিকা রাখতে শোনা যায়। (ওডিও কল রেকর্ডটি আমাদের কাছে সংরক্ষিত আছে)
সম্প্রতি ইমতিয়াজ কামালের বিরুদ্ধে রাঙামাটিতে কর্মরত সাংবাদিক আলমগীর মানিক ও জাহেদা বেগমের বিরুদ্ধে নিজের ফেসবুক ওয়াল ও বিভিন্ন ফেইক আইডি ব্যবহার করে ফেসবুকে নানা অপপ্রচার ও মানহানিকর তৎপরতা চালানোর অভিযোগ উঠে। এমন অভিযোগে রাঙামাটি কোতয়ালী থানায় জিডি করেছেন বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) এর রাঙামাটি প্রতিনিধি জাহেদা বেগম। কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চত করেন।
এ ছাড়াও ইমতিয়াজ কামাল ইমন ও তার বড় ভাই ইশতিয়াক কামাল মুন্নার বিরুদ্ধে সাংবাদিকতার নাম ভাঙ্গিয়ে আবাসিক হোটেল, বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ আছে। সাংবাদিক পরিচয় ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে ডিবি পুলিশের পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুলে ধরেন ভুক্তভোগি জনগণ।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে ইমতিয়াজ কামাল ইমন বলেন, আমি রাঙামাটি প্রেসক্লাবের ব্যাপারে ফেসবুকে লেখালেখির কারণে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। ফাঁস হওয়া অডিও কলটি ইমনের তার নিজের স্বীকার করে বলেন, কলটি ছিলো তার বন্ধু শাওনের সাথে কলটিতে চাঁদাবাজির কথা এডিট করে দেয়া হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।