হ্যাপী করিম, মহেশখালী
দ্বীনি শিক্ষা বিস্তারের ক্ষেত্রে দক্ষিণ চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহি ও কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার শ্রেষ্ঠ মাদরাসা হিসেবে বিবেচ্য কুতুবজোম জামেউস সুন্নাহ দারুল উলুম দাখিল মাদরাসা। ১৯৭৬ সালে এ প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে সুদীর্ঘ ৪৮ বছর ধরে দ্বীনি শিক্ষা বিস্তার, সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া ও ভালো ফলাফলে অভাবনীয় সাফল্য অর্জনের মধ্যদিয়ে মহেশখালী উপজেলা সমাদৃত হয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রতিবছর এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি বৃত্তি পরীক্ষা, দাখিল পরীক্ষায় চমকপ্রদ ফলাফল উপহার দিয়ে যাচ্ছে। অতীতের ধারাবাহিক ভালো ফলাফলের ন্যায় এ বছরও দাখিল ২০২৪ মাদরাসা বোর্ডের প্রকাশিত ফলাফলে ৫ জন এ+ সহ ৫০ জনের মধ্যে ৪১ জন পাস করেছে। তৎমধ্যে ২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেননি। দাখিল পরীক্ষায় পাসের হার ৮২%। গেল বছরের ন্যায় এবারও দাখিল পরীক্ষায় উপজেলা পর্যায়ে অসাধারণ ফলাফলে সাফল্যের সাক্ষর রেখে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছে কুতুবজোম জামেউস সুন্নাহ দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসা।
এদিকে, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের ২০২৪ প্রকাশিত দাখিল পরীক্ষার ফলাফলে এবছরও উপজেলায় ৫ জন এ+ সহ ৪১ জন পাস করে শীর্ষ স্থান দখল করেন। ইর্ষণীয় ফলাফলে মাদরাসার শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটি’সহ অভিভাবকদের মধ্যে চলছে ভিন্নমাত্রার আনন্দ উৎসব। বিজয় চিহ্ন প্রদর্শনের মাধ্যমে এ+ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা পুরো মাদরাসা ক্যাম্পাসে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাদের এ আনন্দের সীমা সবার নজর কেড়েছে।
কুতুবজোম দাখিল মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব আমির হোসেন কোম্পানি জানান, মাদরার শিক্ষক-শিক্ষিকার সার্বিক প্রচেষ্টা এবং ক্লাস নির্ভর লেখাপড়ার পাঠদানে মান্নোয়নের ফলে প্রতি বছরই এ প্রতিষ্ঠান থেকে দাখিল পরীক্ষায় অসাধারণ ও অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করে আসছে। অতীতের মতো এবছরও মাদরাসার শিক্ষার্থীরা দাখিল পরীক্ষায় ৫ জন এ+ পেয়ে প্রতিষ্ঠানের অগ্রযাত্রা ধরে রেখেছে। এদিকে, চমকপ্রদ ফলাফলে শিক্ষার্থীদের মাদরাসা পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে দোয়া ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
কুতুবজোম দাখিল মাদরাসার সুপার মাওলানা আজহারুল ইসলাম বলেন, মাদরাসা বোর্ড কর্তৃক প্রকাশিত দাখিল পরীক্ষার ফলাফলে অভাবনীয় সাফল্যে অর্জন করে আবারও উপজেলা পর্যায়ে শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছে পূনরায়। এ কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য মাদরাসা শিক্ষক-শিক্ষিকা, পরিচালনা পর্ষদ ও অভিভাবক মহলের কাছে আমি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। তিনি আরও বলেন, মাদরাসার ধারাবাহিক কৃতিত্বপূর্ণ সাফল্য ও অগ্রযাত্রা ধরে রাখতে তিনি সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অভিভাবক মহলের কাছে সার্বিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন