• বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
দীর্ঘ দেড় যুগ পর কাল মানিকছড়িতে বড়সড় আয়োজনে বিএনপি’র সম্প্রীতি সমাবেশ লংগদুতে কৃষি ব্যাংকের ভুয়া ঋণের ফাঁদে আটারকছড়া ইউনিয়নের শতাধিক পরিবার ১২ লক্ষ্য টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোর্টে মামলা খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদে জিরুনা ত্রিপুরাকে চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়ার প্রতিবাদ ও সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত কাপ্তাই ব্যাটালিয়ন (৪১ বিজিবি) এর প্রশংসনীয় উদ্যোগ: দূর্গম সীমান্তবর্তী পুন্নমনিছড়া পাড়ায় স্কুল ঘর নির্মাণ রোয়াংছড়ির সহ বিভিন্ন পয়েন্টে ভ্রাম্যমান টহল কার্যক্রম পরিচালনায় -ক্যাম্প কমান্ডার মেজর ইয়াসিন মোহনা টেলিভিশনের ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করলেন ২০৩ পদাতিক ব্রিগেড ও রিজিয়ন কমান্ডার শরীফ মো. আমান হাসান আলীকদমের দুর্গম সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশকালে ৮১ জন রোহিঙ্গা নাগরিক আটক মনাটেক যাদুগানালা মৎস চাষ সমবায় সমিতির আমন্ত্রণে পার্বত্য উপদেষ্টার আগমন মহালছড়িতে লামায় ডিগ্রি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ গোয়ালন্দে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও র‍্যালি অনুষ্ঠিত

কাল লাকসাম হানাদার মুক্ত দিবস

আরিফুর রহমান স্বপন, লাকসাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ / ৩০১ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : রবিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৩

আরিফুর রহমান স্বপন, লাকসাম (কুমিল্লা)প্রতিনিধি:

কাল ১১ ডিসেম্বর লাকসাম হানাদার মুক্ত দিবস। পাকবাহিনীর কবল থেকে এই দিনে স্বাধীনতাকামী মুক্তিবাহিনী লাকসামকে হানাদার মুক্ত করেন।

২৫ মার্চ রাতে ঢাকা শহরে পাকবাহিনী বাঙ্গালি নিধন শুরু করলে লাকসামের স্বাধীনতাকামী মুক্তিপাগল মানুষ হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। ওই সময় লাকসামকে ১,২,৩ ও ৪ নম্বর সেক্টরে ভাগ করা হয়। ৪টি জোনের কমান্ডের সঙ্গে একাধিক প্লাটুন গেরিলা যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন। এ,এফ কমান্ড ও বি,এল,এফ কমান্ড হিসেবে পরিচিত এ বাহিনী মুক্তিযুদ্ধে শক্তিশালী ছিল। বৃহত্তর লাকসাম উপজেলা সদরের উত্তরে বিজয়পুর, পশ্চিমে চাঁদপুর, দক্ষিণে নোয়াখালী ও পূর্বে ভারত সীমান্ত ছিল পাকবাহিনীর যুদ্ধের এলাকা। লাকসামের রেলওয়ে জংশন এলাকায় তৎকালীন চাঁদপুর টোবাকো ফ্যাক্টরীতে (বর্তমানে প‍্যাসিফিক কনজ‍্যুমার ফুডস) পাকবাহিনীর ঘাঁটি ছিল। নিজেদের ঘাঁটিতে বিভিন্ন এলাকা থেকে নিরীহ মানুষদের ধরে এনে নির্বিচারে হত্যা করে লাকসাম রেলওয়ে জংশনের দক্ষিণ পাশে বেলতলী নামকস্থানে গর্ত করে পুঁতে রাখতো।
পাকবাহিনীকে প্রতিরোধ করতে লাকসাম জংশন এলাকায় সশস্ত্র বাহিনী গঠিত হয়। এ বাহিনীর দায়িত্ব পালন করেন কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার সুবেদার আবদুল জলিল ওরফে লাল মিয়া, ক্যাপ্টেন মাহবুব, ব্রিগেডিয়ার দিদারুল আলম, মেজর এনাম আহমেদ, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামি ফ্লাইট সার্জেন্ট ছিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ।

মুক্তিযুদ্ধের সময় লাকসামের আজগরা ইউনিয়নের বড়বাম গ্রামে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে পাকবাহিনীর প্রচন্ড সংঘর্ষ বাঁধে। এ সংঘর্ষে দু’জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। বৃহত্তর লাকসামের হাসনাবাদে (বর্তমানে মনোহরগঞ্জ উপজেলার অন্তর্ভুক্ত) পাকবাহিনীর সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধে ২২ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। ওইসময় পাকবাহিনী হাসনাবাদের সবগুলো বাড়ীঘর পুড়িয়ে দেয়। লাকসামের গৈয়ারভাঙ্গা বর্তমানে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার অন্তর্ভুক্ত) এলাকায় সম্মুখ যুদ্ধে দেলোয়ার, হারুন, মোখলেছ ও মনোরঞ্জন নামে ৪ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। খিলা রেলওয়ে ষ্টেশনে বর্তমানে মনোহরগঞ্জ উপজেলার অন্তর্ভুক্ত) চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জের দুই ছাত্র আনোয়ার হোসেন ও আকরাম আলী পাকবাহিনীর হাতে শহীদ হন। এছাড়াও মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন লাকসাম অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় পাকবাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধে বহু মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হয়েছেন। শহীদদের মধ্যে মোস্তফা কামাল ও সোলাইমান নামে দুই সহোদরের স্মৃতি আজও কেউ ভুলতে পারেনি। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধের সময় মিশ্রি এলাকার আবদুল খালেক, কামড্ডা গ্রামের আবুল খায়েরকে পাকবাহিনী ধরে নিয়ে নির্যাতন শেষে বেলতলীতে পুঁতে রাখে। এই বেলতলি বধ‍্যভূমিতে এখনো প্রায় ১০ হাজার লোকের হাঁড় কঙ্কাল রয়েছে। মাটি খুঁড়লেই মিলে এসব হাঁড় কঙ্কাল।

১৫ এপ্রিল লাকসাম রেলওয়ে জংশনের উত্তরে পেরুল তেঁতুল তলার মুক্তিযোদ্ধারা পাক বাহিনীকে প্রতিরোধ করে। মুক্তিকামী জনতা পাকবাহিনীর সঙ্গে সম্মুখ লড়াই চালিয়ে গেলে ৮ ডিসেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর পাকবাহিনী পিছু হটে যায় এবং ১১ ডিসেম্বর লাকসাম অঞ্চল হানাদার মুক্ত হয়। মুক্ত দিবস উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড ও আওয়ামীলীগসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন ব‍্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ