কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোমে জমানো গুধিতে লবণ পরিমাপে বাধা দেওয়া’কে কেন্দ্র করে কালা মিয়া বাজারের দর্জি মুহাম্মদ সোহেল (৩০) ‘কে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ ঘটনায় আরও তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের কালামিয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মোহাম্মদ সোহেল কালামিয়া বাজার এলাকার রাজা মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় দর্জি।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী’রা জানান জব্বর বাপের খুম নামক চিংড়ি ঘেরে লবণ এর গুধি থেকে জমানো লবণ উত্তোলন নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার স্থানীয় লাল মোহাম্মদ সিকদার পাড়া গ্রামের ফোরকান আহমদ এর পুত্র মকছুদ মিয়া গং এর সাথে একই এলাকার অলী আহমদ এর পুত্র এরশাদ ও ওমর কাজীর পুত্র ছিদ্দীক আহমদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এই সময় এরশাদ গং এর বাধার মুখে মকছুদ গং’রা লবণ উত্তোলণ করতে পারে নি। এই ঘটনার জের ধরে দর্জি সোহেলের দোকানের সামনে চাচাতো ভাই মকছুদ গং’দের’কে কালামিয়া বাজারে এরশাদ গংরা গালিগালাজ করতে থাকে। তাৎক্ষনিক এরশাদ গং এর লোকজন জড়ো হয়ে মকছুদ গং দের উপর হামলা চালায়। দা, ছুরি সহ স্থানীয় বিভিন্ন যন্ত্রপাতি নিয়ে ব্যাপকভাবে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে সোহেল’সহ আরো ৩ জনে’কে আহত করে।
অন্যান আহত’রা হলেন- ফোরকান আহমদের ছেলে মুহাম্মদ মকছুদ (৩৫), জালাল মিয়া (৩৩) ও আলী মিয়া (৫০)। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সোহেল এর মৃত্যুর সংবাদে কালামিয়া বাজারে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
মহেশখালী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত চক্রবর্তী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, প্রতিপক্ষের লোকজন একজনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে খবর পেয়েছি। ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের ধরতে পুলিশ ইতোমধ্যে মাঠে কাজ করছে।