মো: হাবীব আজম, ব্যুরো প্রধান, রাঙামাটি:
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম ওলামা পরিষদ, রাঙামাটি জেলা। আজ ১৩ অক্টোবর শুক্রবার জুমার নামাজের পর বেলা দুইটার দিকে রাঙামাটি সদর সাপছড়ি ইউনিয়নের মানিকছড়ি এলাকার আল আকসা জামে মসজিদ থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু করেন তাঁরা। মিছিলটি বিসিক এলাকা ঘুরে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে মানিকছড়ির চৌরাস্তা মোড়ে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তাঁরা। সাধারণ তৌহিদি মুসলিম জনতাকে নিয়ে এই বিক্ষোভ করে পার্বত্য চট্টগ্রাম ওলামা পরিষদের নেতৃবৃন্দ।
পার্বত্য চট্টগ্রাম ওলামা পরিষদের রাঙামাটি জেলা সাধারণ সম্পাদক মাও: আবু বক্কর সিদ্দিক এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রাঙামাটি জেলা ওলামালীগের সভাপতি মাও: কারী ওসমান গণি। পার্বত্য চট্টগ্রাম ওলামা পরিষদের রাঙামাটি জেলার সহ-সভাপতি মাও: শেখ শুয়াইব, দপ্তর সম্পাদক মাও: আব্দুল মোমিন, সদস্য মো: হাসান, আব্দুল হান্নান, আব্দুল কাদের।
বিক্ষোভ মিছিলে তৌহিদি মুসলিম জনতাকে ‘আল আকসা আল আকসা, লাব্বাইক লাব্বাইক, বিশ্বের মুসলিম এক হও এক হও’, ‘আল আকসা আল আকসা জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ’, ‘ইসরায়েলের ইহুদিরা হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবার’, ‘বদরের হাতিয়ার গর্জে উঠো আরেকবার’, ‘ইসরায়েলের কাপুরুষেরা হুঁশিয়ার সাবধান’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিশ্বের কোথাও মুসলিমরা অত্যাচারিত হলে আমাদের তাঁদের পাশে দাঁড়ানো উচিত। নিপীড়িত ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানাতে আজকের এই বিক্ষোভ। দশকের পর দশক ধরে মানবতাবিরোধী ও মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী রাষ্ট্র ইসরাইল ফিলিস্তিনিদের ওপর নিপীড়নের স্টিম রোলার চালিয়ে আসছে। চলমান হামলা ও সহিংসতার জন্য ইসরাইল দায়ী। অবিলম্বে এ আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে। অবিলম্বে ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। বক্তারা, ফিলিস্তিন ইস্যুতে মুসলিম বিশ্বের রাষ্ট্রপ্রধানদেরকে দ্রুত এক কাতারে আসার আহবান জানান।
পার্বত্য চট্টগ্রাম ওলামা পরিষদের রাঙামাটি জেলা সাধারণ সম্পাদক মাও: আবু বক্কর সিদ্দিক সভাপতিত্বের বক্তব্যে বলেন, ‘ফিলিস্তিনের সাধারণ মানুষের প্রতি যে জুলুম-নির্যাতন চলমান, তার প্রতিবাদে আজ আমরা সমবেত হয়েছি। ইসরায়েলের অবৈধ দখলদারির প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
স্বাধীন-সার্বভৌম ফিলিস্তিন আল-আকসা মুসলমানদের প্রথম কেবলা। আল-আকসা মুসলমানের পুণ্য ভূমি। এটি মুসলিম উম্মাহর সম্পদ। এ সম্পদ রক্ষার দায়িত্ব শুধু ফিলিস্তিনিদের নয়, এ দায়িত্ব গোটা মুসলিম উম্মাহর। দীর্ঘ প্রায় আট দশক ধরে দখলদার ইসরাইল গাজা দখল করে হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে আসছে। আর ইসরাইলকে সহায়তা করছে পশ্চিমাগোষ্ঠী। পশ্চিমারা ইসরাইলকে দিয়ে পুরো মধ্যপ্রাচ্য অশান্ত করে রেখেছে। স্বাধীন রাষ্ট্রপ্রতিষ্ঠা ছাড়া ফিলিস্তিন সমস্যার কোনো সমাধান হবে না। সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে দখলদার ও মধ্যপ্রাচ্যের বিষফোঁড়াখ্যাত ইসরাইলের বিষদাঁত উপড়ে ফেলতে হবে।
তিনি আরো বলেন, আমরা মুক্তিকামী জনতার প্রতি সংহতি জানাচ্ছি। আমরা কোনো জঙ্গিবাদকে সমর্থন করি না। কিন্তু বিশ্বের যে প্রান্তে মুসলমানদের প্রতি অন্যায় হবে, সেখানেই আমাদের প্রতিবাদ জারি থাকবে।’