কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলায় সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচীর আওতায় উপকারভোগীদের সঙ্গে জনপ্রতিনিধির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ ই অক্টোবর) সকালে কুতুবজোম ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে কুতুবজোম আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্টিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুুতুবদিয়া) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক।
কুতুবজোম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট শেখ কামাল এর সভাপতিত্বে ও ইউপি সচিব মোহাম্মদ রশিদ এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা সহকারী কমিশন ভূমি তাজবির হোসেন, উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কাউছার আহমেদ, কুতুবজোম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট নুরুল হুদা ও সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম রবি, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি এম আজিজুর রহমান বিএ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক প্রচার ও প্রকাশানা সম্পাদক প্রভাষক এহসানুল করিম, মহেশখালী প্রেস ক্লাবের সভাপতি আব্দুল বশর পারভেজ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাস্টার লিয়াকত আলী, আওয়ামী লীগ নেতা ডাঃ আমন্জু মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা উপজেলা কমান্ডার ছালেহ আহমদ, সমাজসেবক সোমলতা আহমদ, উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি মাওলানা ইউনুস, কুতুবজোম ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার নুরুল আমিন খোকা, হোয়ানক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ ওয়াহিদ চৌধুরী, কুতুবজোম ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া সিকদার এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্যবৃন্দ, গনমাধ্যমকর্মী, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী’সহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের নারী পুরুষ উপকারভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।
সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক বলেন- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়ন ও বাংলার মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিন রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। সরকার নানাবিধ সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচীর ভাতা চালু করেছেন। বিএনপি, এরশাদ ও ফখরুদ্দিন সরকারের সময়ে কোন ভাতা দেওয়া হয়নি। শুধুমাত্র আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ই বিভিন্ন ভাতা দেওয়া হয়। তিনি বলেন- আমরা যা বলি তা বাস্তবায়ন করে দেখায়। প্রত্যকের বাড়িতে বিদ্যুৎ আছে। যা সরকার পৌঁছে দিয়েছে। সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচনে কোন সরকার ক্ষমতায় আসবে তা আপনাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
এসময় উপস্থিত সবাইকে নৌকা প্রতিকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করার আহ্বান জানান তিনি। ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ৪ হাজার নারী-পুরুষ উপস্থিত ছিলেন। এ ইউনিয়নে উপকারভোগীর সংখ্যা- বয়স্ক ভাতা ৮২৬ জন, বিধবা ভাতা ২৮৫ জন, প্রতিবন্ধী ভাতা ৪১২ জন, মা ও শিশু সহয়তা ভাতা ১৬৪, ভিজিডি ভাতা ২৩৭ জন, টিসিবি উপকারভোগী ১৬৮৪ জন, খাদ্য বান্ধব ১২৭৩ জন, ইজিপিপি+ ৭০২ জন, উপবৃত্তি ৩৮০০ জন শিক্ষার্থী, ভিজিএফ ১৯৫০ জন, জেলে উপকারভোগী ৪১৯৬ জন, ভূমিহীন ঘর পেয়েছে ২০ জন, আশ্রয় প্রকল্পের ঘর পেয়ে আরোও ৩৯০ জন উপকারভোগী রয়েছেন।