নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার টাংকিরঘাট পুলিশ ক্যাম্প, আওয়ামী লীগ কার্যালয়সহ স্থানীয় কয়েকটি বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় স্থানীয়দের সহযোগিতায় অস্ত্রসহ ছয়জনকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার আবদুর রব ব্যাপারীর নেতৃত্বে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আটকরা হলেন- লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরগাজী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত লুৎফুর রহমানের ছেলে মো. জাবেদ (২৯), ৫ নম্বর ওয়ার্ডের টেকাছিয়া গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে মো. জহির (২৬), নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার হরনী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের টাংকি সমাজের মোজাম্মেল হকের ছেলে মো. স্বপন (২৮), একই এলাকার মুজাফফরের ছেলে মো. নাছির (৪৮), নুর আলমের ছেলে আবদুল করিম (৪০), হরনী ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাহার উদ্দিনের ছেলে মাহফুজুর রহমান (৩৭)।
স্হানীয় সূত্রে জানাযায়, ভোর সাড়ে ৪টার দিকে রামগতির সন্ত্রাসী আবদুর রব ব্যাপারীর নেতৃত্বে ৫০ থেকে ৬০ জন ডাকাত টাংকির ঘাটে হামলা চালায়। তারা পুলিশ ক্যাম্প, আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে গুলিবর্ষণসহ ভাঙচুর করেন। এছাড়া কয়েকটি বাড়িতেও হামলা চালায়। এর আগেও তারা বেশ কয়েকবার হামলা চালিয়েছিল। এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন এলাকা বাসী।
হাতিয়া থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিসান আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জেলা পুলিশ, র্যাব-১১ (সিপিসি-৩) ও গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় তিনটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এরআগে দুই জেলার সীমানা বিরোধের জেরে ১১ মে লক্ষ্মীপুরের রামগতি সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সাইফুল আলম চৌধুরী ও রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেনকে টাংকির ঘাট এলাকায় পুলিশ ক্যাম্পে পাঁচ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে নোয়াখালী সদর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।