বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ নেই। এ কারণে কষ্ট করে দেশের বাইরে গিয়ে পড়াশোনা করার চেষ্টা করছেন আফগানিস্তানের নারীরা। কিন্তু তাতেও দেওয়ালের মতো শক্ত বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে তালেবান প্রশাসন। এক প্রতিবেদনে এমন চিত্রই তুলে ধরেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) দুবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কলারশিপ পেয়েছিলেন আফগানিস্তানের প্রায় ১০০ নারী। নারীদের এই সুযোগ দিয়েছিলেন আমিরাতের ধনকুবের শেখ খালাফ আহমদ আল হাবতুর। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে এসব স্কলারশিপের কাজ শুরু হয়।
ভিসা ও টিকিট পাওয়া পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাকই ছিল। কিন্তু বিমানবন্দরে যাওয়ার পর আটকে দেওয়া হলো এদের অন্তত ৬০ জনকে। বলা হলো, নারীদের একা বিদেশ যাওয়ার নিয়ম নেই। যেতে হলে মাহরামকে নিতে হবে সঙ্গে। কয়েক জন এই নিয়ম মানার পরও আটকে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
২০ বছর বয়সী আফগান নারী নাতকাই বলেন, তালেবান সরকার পড়াশোনা বন্ধ করার পর বিদেশে পড়তে চেয়েছিলেন তিনি। সবকিছু ঠিকঠাকই ছিল। কিন্তু বিমানবন্দরে যাওয়ার পরই সব শেষ হয়ে যায়। কেড়ে নেওয়া হয় ভিসা ও টিকিট।
আমিরাতের ধনকুবের শেখ খালাফ আহমদ আল হাবতুর ও দুবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে বিমানবন্দরে আটকে দেওয়ার তথ্য সত্য বলে নিশ্চিত করেছে। শেখ খালাফ আহমদ আল হাবতুর এ নিয়ে এক্সে একটি বার্তাও শেয়ার করেন। তাতে তালেবানের সমালোচনা করেন তিনি।