ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের মধ্যে যুদ্ধে এ পর্যন্ত গাজার প্রায় ১৯ লাখ মানুষ (৮০%) বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
জাতিসংঘের মানবিক কার্যক্রম ও পুনর্গঠন বিষয়ক সমন্বয়ক সিগরিদ কাগ এ তথ্য জানিয়েছেন। এর মধ্যে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস নগরীর মানুষজনকে সরে যাওয়ার জন্য ইসরায়েলের দেওয়া নতুন নির্দেশে তিনি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন বলেও জানিয়েছেন।
ইসরায়েল একদিন আগেই গাজা দ্বিতীয় বৃহত্তম খান ইউনিস নগরীতে হামলা জোরদার করার মুখে লোকজনকে সেখান থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়।
তাদের এই নির্দেশের কারণে ২ লাখ ৫০ হাজার ফিলিস্তিনি আবার নতুন করে বাস্তুচ্যুত হবে বলে আনুমানিক হিসাব দিয়েছে জাতিসংঘ। ইসরায়েলের হামলার কারণে বারবারই গাজার মানুষ তাদের বাসস্থান বদলাতে বাধ্য হচ্ছে।
আরব নিউজ জানায়, গাজার বিপর্যয়কর মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে এমাসে নিউ ইয়র্কে রাশিয়া আয়োজিত নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের পর এসব কথা বলেন কাগ।
তিনি বলেন, “ফিলিস্তিনের জনগণ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। তাদের বাড়িঘর বলতে কিছু নেই। জীবন বিপন্ন। যুদ্ধ সেখানে কেবল মানবিক সংকটই তৈরি করেনি ব্যাপক মানবিক দুর্দশা ডেকে এনেছে।”
মানবিক বিপর্যয় এড়াতে গাজাবাসীদের কাছে এখনও যথেষ্ট ত্রাণ পৌঁছচ্ছে না। ত্রাণ প্রবেশের সুযোগ করে দিতে তিনি গাজা এবং মিশরের মধ্যকার রাফা সীমান্ত ক্রসিং পুনরায় খুলে দেওয়ার আহ্বান জানান। সেইসঙ্গে ত্রাণ প্রচেষ্টায় আরও তহবিল দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কেও আহ্বান জানান কাগ।