আশুলিয়ার শ্রীপুরে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে মোঃ নজরুল ইসলাম (৪৫) নামে আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে। মাটি কাটার ভেকু (এসকেভেটর) চালক ছিলেন তিনি। এই ঘটনায় গতকাল গার্মেন্টসকর্মী সাবিনা বেগম (৪০) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছিল।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম। তিনি জানান গত শনিবার রাত আনুমানিক দুইটার দিকে আশুলিয়া থেকে দগ্ধ হয়ে ৬ জন আমাদের এখানে আসেন। তাদের মধ্যে গতকাল সাবিনা বেগম আমি এক নারীর মৃত্যু হয়। তার শরীরে শতকরা ৫০%দগ্ধ হয়েছিল। আর গতরাতে নজরুল ইসলাম নামে আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে। তার শরীরে শতকরা ৫০% দগ্ধ হয়েছিল। এই ঘটনায় আরো চারজন আমাদের এখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তারা হলেন,মুদি দোকানদার মোঃ মহসিন হোসেন (২৭) দগ্ধ শতকরা ১০% ও তার মা কমেলা বেগম (৫০) দগ্ধ কমেলা বেগম শতকরা ২০%. ব্রিটিশ টোবাকো কোম্পানির কর্মচারী মোঃ সাদিকুল ইসলাম (২৮) দগ্ধ শতকরা ৫০% এবং মুদি দোকানদার মোঃ হাশেম আলী (৪৫) দগ্ধ শতকরা ৪৫%.। তাদের সবাইকে অবজারভেশনে রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য গত শনিবার (১২ আগস্ট) দিবাগত রাত ৮টার দিকে আশুলিয়ার শ্রীপুর ধানসোনা নতুননগর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নারীর সহ ৬ জন দগ্ধ হয়েছিলেন।
তাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে আসা প্রতিবেশী মোতালেব হোসেন জানান, তারা ধানসোনা ইউনিয়নের নতুননগর এলাকার শফিকের সেমিপাকা টিনশেড বাড়িতে পাশাপাশি কয়েকটি ঘরে ভাড়া থাকেন। রাত ৮টার দিকে তিনি শ্রীপুর বাজারে তার কাপড়ের দোকান থেকে বাসার কিছুটা দূরে পৌঁছানো মাত্রই বিকট একটি শব্দ শুনতে পান। দৌড়ে বাসায় গিয়ে দেখেন, তাদের বাসা ও আশপাশে আরও কয়েকটি ঘরে আগুন জ্বলছে এবং প্রচণ্ড ধোঁয়া বের হচ্ছে। পরবর্তীকালে আশপাশের ভাড়াটিয়াদের মাধ্যমে কয়েকটি ঘর থেকে ওই ৬ জনকে বের করে আনা হয়। প্রথমে তাদেরকে স্থানীয় হাসপাতাল নেয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে রাতেই শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়।