শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন মিনারুল ইসলাম (৩৫)। তিনি গাজীপুর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার পিতা ফরমান মণ্ডল (৭৫) গত সোমবার (১৪আগষ্ট) শেখ হাসিনা বার্নে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
গত রোববার(১৩ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে গাজীপুরের বোর্ডবাজারের মুক্তার বাড়ী এলাকার ভাড়া বাসায় লিকেজ হয়ে গ্যাস জমে বিস্ফোরণে একই পরিবারের বাবা মা সহ ৩ জন দগ্ধ হয়েছিলেন ।এই ঘটনায় ওই কর্মকর্তার স্ত্রী এবং দুই সন্তান পাশের ঘরে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান। বর্তমানে শেখ হাসিনা বার্নে ওই কর্মকর্তার মা খাদিজা বেগম (৬৫) গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আবাসিক সার্জন ডা মোঃ তরিকুল ইসলাম।
তিনি জানান গাজীপুর থেকে দগ্ধ অবস্থায় তিনজন আমাদের জরুরি বিভাগে আসে। এদের মধ্যে গত সোমবার ফরমান মণ্ডল ৯৫ শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় আমাদের নিবিড় পরিচর্য কেন্দ্রে মারা যান। পরে আজ দুপুরের দিকে মিনারুল ইসলাম ৯৫ শতাংশ দগ্ধ হয়ে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে মারা যান। ওই একই পরিবারের আরও একজন খাদিজা বেগম (৬৫) নামে নারী ৫ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে শেখ হাসিনা বার্নে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার অবস্থাও আশঙ্কাজন।
দগ্ধ মিনারুলের সহকর্মী মো. মাহবুবুর রহমান জানান, গত বুধবার রাতে খবর পান গাজীপুরের বোর্ডবাজার কলমেশ্বর এলাকায় মিনারুলের ভাড়া বাসায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। গ্যাস সিলিন্ডারটি অক্ষত থাকায় ধারণা করা হচ্ছে জমে থাকা গ্যাসের বিস্ফোরণে এই ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে। পরে স্থানীয়দের কাছ থেকে তিনি জানতে পারেন রাত সাড়ে ১০ টার দিকে মিনারুলের মা চুলা জ্বালাতে গেলে ঘরে জমে থাকা গ্যাস থেকে আগুন জ্বলে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে রান্না ঘরে থাকা মা খাদিজা, পাশের কক্ষে থাকা মিনারুল ও তার পিতা ফরমান মন্ডল অগ্নিদগ্ধ হয়। এসময় তার স্ত্রী ও সন্তান পাশের অন্য একটি কক্ষে থাকায় রক্ষা পায়। বিস্ফোরণে ঘরের দরজা জানালা ভেঙে চুরমার হয়ে যায়।