বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আশ্রয়দাতারা বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে উতলা হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাদের উদ্দেশ্য নির্বাচন বা গণতন্ত্র নয়, তারা উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়। আজ বুধবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনায় এসব কথা বলেন তিনি।
আটলান্টিকের ওপারে গণতন্ত্রের সংজ্ঞা পাল্টে যায় কিনা সে প্রশ্নও করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আশ্রয়দাতারা এখন নির্বাচন সামনে রেখে বাংলাদেশে নিয়মিত আসা-যাওয়া শুরু করেছে। বিএনপি তাদের চোখের মণি। বিএনপিকে যারা ক্ষমতায় বসাতে চায় তারা বাংলাদেশের ভৌগলিক গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানকে কাজে লাগিয়ে এশিয়া, ভারত ও প্রশান্ত মহাগরীয় অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে খেলতে চায়। বিষয়টি দেশবাসীকে বুঝতে হবে”।
“গণতন্ত্রের দোহাই দিয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতিশীল সৃষ্টি করে বিশেষ একটি শক্তি ভারত মহাসাগর অঞ্চল, বঙ্গোপসাগর অঞ্চল দখলে নিতে চায়। তারা আশেপাশের বিভিন্ন দেশগুলোকে ধ্বংস করতে চায়”- বলেন সরকারপ্রধান।
শেখ হাসিনা বলেন, “যুদ্ধ ও মহামারীর মধ্যেও উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখেছে আওয়ামী লীগ সরকার”।
এছাড়া কেনা গোলামদের ক্ষমতায় বসানোর ষড়যন্ত্রের বিষয়ে জনগণকে সর্তক থাকার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী এবং সঠিক জবাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেন।
২০ বছর ধরে শান্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম এখন আবার কেন অশান্ত হচ্ছে- এই প্রশ্ন তুলে শেখ হাসিনা বলেন, “নানা ধরনের খেলায় মত্ত অনেকে। আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরানোই তাদের উদ্দেশ্য”।
বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, “ভোট চুরির সংস্কৃতি এদেশে জিয়ার আমল থেকেই শুরু হয়েছে। এদেশে যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতির সুযোগও দিয়েছেন জিয়াউর রহমানই”।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “১৫ আগস্ট জাতির জীবনে সবচেয়ে কলঙ্কজনক অধ্যায়। স্বাধীন বাংলাদেশে সবচেয়ে দুঃখজনক ঘটনা। সেদিন ঘাতকের বুলেটে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ পরিবারের সবাইকে হত্যা করা হয়। ইতিহাসে এই ধরনের জঘন্য ঘটনা বাংলার মাটিতে ঘটে যায়”।