ঢাকা মেডিকেল কলেজের ডা.আলিম চৌধুরী ছাত্রীনিবাসে জয়াকুন্ড(২২) নামে এক শিক্ষার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে। তিনি এমবিবিএস পঞ্চম বর্ষের কে-৭৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।
বুধবার (১৬ আগস্ট) অচেতন অবস্থায় তাকে বেলা পৌনে ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে আনা হলে চিকিৎসক ওই শিক্ষার্থীকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া চিকিৎসকের বরাত দিয়ে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মৃত ছাত্রীর নাম জয়া কুন্ডু (২৪)। ঢামেকের ডা. আলিম চৌধুরী হলের তৃতীয় তলায় ৪৫ নম্বর রুমে ঘটনাটি ঘটে।
মৃত শিক্ষার্থীর রুমমেট পৃথুলা রায় জানান, ঢাকা মেডিকেল কলেজের ২০১৮-২০১৯ বর্ষের শিক্ষার্থী জয়া। কলেজের ডা. আলিম চৌধুরী হলের তৃতীয় তলায় ৪৫ নম্বর রুমে জয়া কুন্ডু ও লাবণী রায়সহ তারা ৩ জন থাকতেন।
তিনি জানান, বুধবার (১৬ আগস্ট) সকালে লাবণী হল থেকে বের হয়ে যান। এরপর সকাল ১০টার দিকে জয়াকে রুমে রেখে পৃথুলা রায়ও বের হয়ে যান। সাড়ে ১০টার দিকে তিনি জানতে পারেন, জয়া রুমে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়েছেন।
জয়া অনেকদিন যাবৎ ডিপ্রেশনে ভুগছিলেন। বিভিন্ন জায়গায় তার কাউন্সেলিং করানো হচ্ছিল বলেও জানান পৃথুলা।
জয়ার ভাই পার্থ কুন্ড জানান, তাদের বাড়ি খুলনার সদর উপজেলার কুয়েত রোড ফুলবাড়ি গেট এলাকায়। বাবার নাম গিরিন্দ্রনাথ কুন্ড। তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) পড়েন। বোনের মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে এসেছেন। কী কারণে জয়া আত্মহত্যা করতে পারে, সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি তিনি।
জয়ার মরদেহ ঢামেক হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। শাহবাগ থানা পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করছে বলে জানান পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া।