মাটিরাঙা পৌরসভা নির্বাচন পরবর্তী কোন ধরনের সংঘাত মেনে নেয়া হবেনা মন্তব্য করে মাটিরাঙ্গা জোন কমান্ডার লে. কর্ণেল মো. মোহসীন হাসান বলেছেন, সেনাবাহিনী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষন করছে। নির্বাচনকে পুঁজি করে সংঘাত কিংবা সহিংসতার চেষ্ঠা করবে যারা তাদেরকে কঠোর হাতে দমন করা হবে। এসময় নির্বাচনে বিজয়ী ও পরাজিত প্রার্থীদের সংঘাত পরিহার করে শান্তিপুর্ন পরিবেশ নিশ্চিতের মাধ্যমে নাগরিক দায়িত্ব পালনের আহবান জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে মাটিরাঙ্গা জোন সদর সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত মাসিক নিরাপত্তা সম্মেলন ও মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
সভায় বক্তারা, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর নির্বাচনের পর সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেইসবুকে কোন ধরনের উস্কানীমুলক পোস্ট না দেয়ারও আহবান জানান । সাম্প্রতিক সময়ের সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের প্রসঙ্গ তুলে ধরে তারা সকলকে সড়ক দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি রোধে যানবাহন আইন মেনে চলার আহবান জানান ।
ঘন্টা ব্যাপী অনুষ্ঠিত নিরাপত্তা সম্মেলনে মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো: রফিকুল ইসলাম, গুইমারা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান উশ্যেপ্রু মারমা, মাটিরাঙা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজ তৃলা দেব, মাটিরাঙ্গা পৌরসভার মেয়র মো. শামছুল হক, মাটিরাঙ্গা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শাহনুর আলম, ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এমরান হোসেন, ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ আলী, ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো: মোস্তফা, ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আব্দুল খালেক ও ২নং ওয়ার্ডের পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী মো. খোরশেদ আলম সুমন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন,৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রাকিবুল হাসান, ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো, শহিদুল ইসলাম সোহাগ, ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো, মিজানুর রহমান খোকন, ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সফিকুর রহমান, সংরক্ষিত মহিলা আসনের কাউন্সিলর মায়না বেগম, মনোয়ারা বেগম ও জয়নব বিবি, মাটিরাঙ্গা মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ কেফায়েত উল্লাহ প্রমুখ।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে মাটিরাঙ্গা জোনের জোনাল স্টাফ অফিসার মেজর মো. আরিফুর দৌলা জি, মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. খায়রুল আলম ও মাটিরাঙ্গা সরকারি ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রশান্ত কুমার ত্রিপুরা ছাড়াও মাটিরাঙ্গা পৌরসভার কাউন্সিলরবৃন্দ, হেডম্যান-কার্বারী, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।