• বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:০৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম
আঞ্চলিক পরিষদ পুনর্গঠনের দাবিতে মানিকছড়িতে ইউপিডিএফের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ বান্দরবানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বই ও শিক্ষা উপকরণ উপহার প্রদান চাঁদার টাকা না দিলে হামলা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে -সন্ত্রাসী রকি গ্রুপ ১ যুগ পর মহালছড়ি গণতান্তিক উপায়ে বাজার ব্যবসায়ী কমিটি গঠন ওলামা বাজার মাদ্রাসার বিরুদ্ধে ফেসবুকে অপপ্রচারের প্রতিবাদে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের সংবাদ সম্মেলন সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে কাপ্তাই সেনা জোনের প্রীতি ভোজ  পরিষদ ভবণ নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবাদে মানিকছড়িতে সচেতন নাগরিক ফোরামের মানববন্ধন মাটিরাঙ্গায় প্রা‌ন্তিক কৃষক‌দে‌র মাঝে বিনামূ‌ল্যে সার ও বীজ বিতরণ চন্দ্রঘোনা খ্রীস্টিয়ান হাসপাতালে ২ দিনব্যাপী  দক্ষতা উন্নয়নের উপর কর্মশালা শুরু রাঙ্গামাটিতে ঘুষ-তদবির ছাড়া মেধার ভিত্তিতে ১৭ জন পেলেন পুলিশের চাকরি দাগনভূঞা সরকারি হাসপাতালে আস্থা ফিরেছে রোগীদের – ক্রমান্বয়ে বাড়ছে রোগী, কনসালটেন্ট ও জনবল সংকটে চরমে ইসলামি ফাউন্ডেশন উদ্যোগে মহিলাদের মধ্যে সেলাই মেশিন ও ভাতা প্রদান

দিন দিন কমে যাচ্ছে বাঁশের তৈরি পণ্যের ব্যবহার,হারিয়ে যাচ্ছে বাঁশ শিল্প, ভালো নেই কারিগররা

মাসুদ রানা, স্টাফ রিপোর্টার / ২২৪২ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : রবিবার, ৩০ জুলাই, ২০২৩

চাহিদা কমলেও বাঁশের পণ্য তৈরির শিল্প এখনও ধরে রেখেছে মেহেরপুরের কোল সম্প্রদায়। তবে যারা এই শিল্প টিকিয়ে রেখেছেন তারাও ভালো নেই। অন্যান্য পণ্যের দাম বাড়লেও বাঁশের তৈরি পণ্যের দাম না বাড়ায় বিপাকে কারিগরেরা।

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বামন্দীতে বাস কোল সম্প্রদায়ের ২৮টি পরিবারের। বাঁশ দিয়ে কুলা, ডালা মাছ ধরার পলোসহ গৃহস্থালির পণ্য তৈরি করে চলে এসব পরিবারের জীবিকা।

কারিগরেরা বলছেন, দিন দিন নিত্যপণ্যের দাম বাড়লেও বাড়ছে না তাদের তৈরি পণ্যের দাম। প্লাস্টিক ও অ্যালুমিনিয়ামের পণ্য বাজার দখল করে নেওয়ায় বাঁশের তৈরি পণ্য ব্যবহার কমে গেছে। এতে কঠিন হয়ে গেছে তাদের টিকে থাকা।

কারিগর শ্রী শ্রী হরে কৃষ্ণ বলেন, হাতে গোনা আমরা কয়েকটি পরিবার আজও এ কাজে নিয়োজিত আছি। একটি বাঁশ থেকে ১০-১২টি ডালি তৈরি হয়। সকল খরচ বাদ দিয়ে প্রতিটি পণ্য থেকে ১০-২০ টাকা করে লাভ থাকে। তবে বর্তমানে আগের মতো আর বেশি লাভ হয় না। নিজেদেরই বিভিন্ন হাটে গিয়ে ও গ্রামে গ্রামে ফেরি করে এসব পণ্য বিক্রি করতে হয়। বর্তমানে স্বল্প দামে হাতের নাগালে প্লাস্টিক সামগ্রী পাওয়ায় বাঁশ শিল্পের চাহিদা আর নেই।

টিকতে না পেরে এরই মধ্যে পেশাও বদলে ফেলেছেন অনেকে। তবে এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে স্বল্প সুদে ঋণসহ সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।

মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক আজিজুল ইসলাম বলেন, বাঁশ ও শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে কৃষকদের সুদমুক্ত ঋণ দেওয়া প্রয়োজন। পাশাপাশি এই পেশার সঙ্গে জড়িতদের নিয়ে আমাদের পরিকল্পনা গ্রহণ করা দরকার।

আগে কোল সম্প্রদায়ের পরিবারগুলোতে সবাই জড়িত ছিল বাঁশের পণ্য তৈরিতে। চাহিদা কমে যাওয়ায় এখন কেবল নারীরাই ধরে রেখেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ