• বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৫:৪০ অপরাহ্ন
শিরোনাম
আওয়ামীলীগের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে মহালছড়ি ও মাইসছড়ি বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল মহালছড়িতে সামাজিক সংস্কার আন্দোলনের ব্যানারে শীতার্তদের কম্বল বিতরণ রংপুরে ২য় বারের মতো আয়োজিত হয়ে গেলো ” কিরন পেজেন্টস এন,ইউ,এস,ডি,এফ দক্ষতা উন্নয়ন সম্মেলন ২০২৫ বান্দরবানে নানান আয়োজন চলছে জ্ঞান ও বিদ্যার দেবী সরস্বতী পূজা ফের স্থলমাইন বিস্ফোরণে নাইক্ষংছড়িতে এক কিশোরের পা উড়ে গেল শেষ হলো বান্দরবান-র  জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট মহালছড়িতে সরস্বতী পূজামণ্ডপ পরিদর্শন ও আর্থিক উপহার প্রদান উপজেলা বিএনপির লামায় নবাগত ইউএনওর সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় নানা আয়োজনে রাজস্থলীতে সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত খাগড়াছড়িতে প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় মতবিনিময় অনুষ্ঠিত খেলাধুলা একটি জাতির উন্নতির অন্যতম মাধ্যম- বলেন -লে. কর্নেল এ এস এম মাহমুদুল হাসান আওয়ামী সরকারের রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকান্ডে জুলাই গণহত্যার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের দাবিতে খাগড়াছড়িতে মশাল মিছিল

দিন দিন কমে যাচ্ছে বাঁশের তৈরি পণ্যের ব্যবহার,হারিয়ে যাচ্ছে বাঁশ শিল্প, ভালো নেই কারিগররা

মাসুদ রানা, স্টাফ রিপোর্টার / ২২৭১ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : রবিবার, ৩০ জুলাই, ২০২৩

চাহিদা কমলেও বাঁশের পণ্য তৈরির শিল্প এখনও ধরে রেখেছে মেহেরপুরের কোল সম্প্রদায়। তবে যারা এই শিল্প টিকিয়ে রেখেছেন তারাও ভালো নেই। অন্যান্য পণ্যের দাম বাড়লেও বাঁশের তৈরি পণ্যের দাম না বাড়ায় বিপাকে কারিগরেরা।

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বামন্দীতে বাস কোল সম্প্রদায়ের ২৮টি পরিবারের। বাঁশ দিয়ে কুলা, ডালা মাছ ধরার পলোসহ গৃহস্থালির পণ্য তৈরি করে চলে এসব পরিবারের জীবিকা।

কারিগরেরা বলছেন, দিন দিন নিত্যপণ্যের দাম বাড়লেও বাড়ছে না তাদের তৈরি পণ্যের দাম। প্লাস্টিক ও অ্যালুমিনিয়ামের পণ্য বাজার দখল করে নেওয়ায় বাঁশের তৈরি পণ্য ব্যবহার কমে গেছে। এতে কঠিন হয়ে গেছে তাদের টিকে থাকা।

কারিগর শ্রী শ্রী হরে কৃষ্ণ বলেন, হাতে গোনা আমরা কয়েকটি পরিবার আজও এ কাজে নিয়োজিত আছি। একটি বাঁশ থেকে ১০-১২টি ডালি তৈরি হয়। সকল খরচ বাদ দিয়ে প্রতিটি পণ্য থেকে ১০-২০ টাকা করে লাভ থাকে। তবে বর্তমানে আগের মতো আর বেশি লাভ হয় না। নিজেদেরই বিভিন্ন হাটে গিয়ে ও গ্রামে গ্রামে ফেরি করে এসব পণ্য বিক্রি করতে হয়। বর্তমানে স্বল্প দামে হাতের নাগালে প্লাস্টিক সামগ্রী পাওয়ায় বাঁশ শিল্পের চাহিদা আর নেই।

টিকতে না পেরে এরই মধ্যে পেশাও বদলে ফেলেছেন অনেকে। তবে এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে স্বল্প সুদে ঋণসহ সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।

মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক আজিজুল ইসলাম বলেন, বাঁশ ও শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে কৃষকদের সুদমুক্ত ঋণ দেওয়া প্রয়োজন। পাশাপাশি এই পেশার সঙ্গে জড়িতদের নিয়ে আমাদের পরিকল্পনা গ্রহণ করা দরকার।

আগে কোল সম্প্রদায়ের পরিবারগুলোতে সবাই জড়িত ছিল বাঁশের পণ্য তৈরিতে। চাহিদা কমে যাওয়ায় এখন কেবল নারীরাই ধরে রেখেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ