• শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:৫৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম
মহালছড়ি উপজেলা প্রেস ক্লাবের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা মাইসছড়িতে আগুনে পুড়ে ২টি দোকান ও ১টি ঘর ছাই, উপজেলা বিএনপির আর্থিক সহযোগিতা প্রদান দীঘিনালায় অবৈধভাবে ফুটপাত দখলের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান বাঙ্গালহালিয়া আবাসিক হিন্দুপাড়া মা মগদ্বেশ্বরী মাতৃমন্দিরে মহোৎসব সম্পন্ন খাগড়াছড়িতে বে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণের দাবীতে শিক্ষকদের মানববন্ধন লামায় ৭ তামাক চাষীকে অপহরণ সাঙ্গু পত্রিকার সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাঘাইছড়ি উপজেলা বিএনপির সভাপতি চট্টগ্রাম যন্ত্রশিল্পী সংস্থার শীতবস্ত্র বিতরণ মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে খেলাধূলা বিকল্প নেই – ওয়াদুদ ভূঁইয়া কাকডাকা সকালে নির্ঘুম শীতার্ত মানুষের মাঝে উষ্ণতা ছড়ালেন ইউএনও তাহমিনা আফরোজ ভুঁইয়া তিন শতাধিক অসহায় শীতার্ত মানুষের মাঝে ২৩ বিজিবি যামিনীপাড়া জোনের কম্বল বিতরণ শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র পৌঁছে দিল দীঘিনালা সেনা জোন

দিন দিন কমে যাচ্ছে বাঁশের তৈরি পণ্যের ব্যবহার,হারিয়ে যাচ্ছে বাঁশ শিল্প, ভালো নেই কারিগররা

মাসুদ রানা, স্টাফ রিপোর্টার / ২২৬৪ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : রবিবার, ৩০ জুলাই, ২০২৩

চাহিদা কমলেও বাঁশের পণ্য তৈরির শিল্প এখনও ধরে রেখেছে মেহেরপুরের কোল সম্প্রদায়। তবে যারা এই শিল্প টিকিয়ে রেখেছেন তারাও ভালো নেই। অন্যান্য পণ্যের দাম বাড়লেও বাঁশের তৈরি পণ্যের দাম না বাড়ায় বিপাকে কারিগরেরা।

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বামন্দীতে বাস কোল সম্প্রদায়ের ২৮টি পরিবারের। বাঁশ দিয়ে কুলা, ডালা মাছ ধরার পলোসহ গৃহস্থালির পণ্য তৈরি করে চলে এসব পরিবারের জীবিকা।

কারিগরেরা বলছেন, দিন দিন নিত্যপণ্যের দাম বাড়লেও বাড়ছে না তাদের তৈরি পণ্যের দাম। প্লাস্টিক ও অ্যালুমিনিয়ামের পণ্য বাজার দখল করে নেওয়ায় বাঁশের তৈরি পণ্য ব্যবহার কমে গেছে। এতে কঠিন হয়ে গেছে তাদের টিকে থাকা।

কারিগর শ্রী শ্রী হরে কৃষ্ণ বলেন, হাতে গোনা আমরা কয়েকটি পরিবার আজও এ কাজে নিয়োজিত আছি। একটি বাঁশ থেকে ১০-১২টি ডালি তৈরি হয়। সকল খরচ বাদ দিয়ে প্রতিটি পণ্য থেকে ১০-২০ টাকা করে লাভ থাকে। তবে বর্তমানে আগের মতো আর বেশি লাভ হয় না। নিজেদেরই বিভিন্ন হাটে গিয়ে ও গ্রামে গ্রামে ফেরি করে এসব পণ্য বিক্রি করতে হয়। বর্তমানে স্বল্প দামে হাতের নাগালে প্লাস্টিক সামগ্রী পাওয়ায় বাঁশ শিল্পের চাহিদা আর নেই।

টিকতে না পেরে এরই মধ্যে পেশাও বদলে ফেলেছেন অনেকে। তবে এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে স্বল্প সুদে ঋণসহ সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।

মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক আজিজুল ইসলাম বলেন, বাঁশ ও শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে কৃষকদের সুদমুক্ত ঋণ দেওয়া প্রয়োজন। পাশাপাশি এই পেশার সঙ্গে জড়িতদের নিয়ে আমাদের পরিকল্পনা গ্রহণ করা দরকার।

আগে কোল সম্প্রদায়ের পরিবারগুলোতে সবাই জড়িত ছিল বাঁশের পণ্য তৈরিতে। চাহিদা কমে যাওয়ায় এখন কেবল নারীরাই ধরে রেখেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ