চাহিদা কমলেও বাঁশের পণ্য তৈরির শিল্প এখনও ধরে রেখেছে মেহেরপুরের কোল সম্প্রদায়। তবে যারা এই শিল্প টিকিয়ে রেখেছেন তারাও ভালো নেই। অন্যান্য পণ্যের দাম বাড়লেও বাঁশের তৈরি পণ্যের দাম না বাড়ায় বিপাকে কারিগরেরা।
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বামন্দীতে বাস কোল সম্প্রদায়ের ২৮টি পরিবারের। বাঁশ দিয়ে কুলা, ডালা মাছ ধরার পলোসহ গৃহস্থালির পণ্য তৈরি করে চলে এসব পরিবারের জীবিকা।
কারিগরেরা বলছেন, দিন দিন নিত্যপণ্যের দাম বাড়লেও বাড়ছে না তাদের তৈরি পণ্যের দাম। প্লাস্টিক ও অ্যালুমিনিয়ামের পণ্য বাজার দখল করে নেওয়ায় বাঁশের তৈরি পণ্য ব্যবহার কমে গেছে। এতে কঠিন হয়ে গেছে তাদের টিকে থাকা।
কারিগর শ্রী শ্রী হরে কৃষ্ণ বলেন, হাতে গোনা আমরা কয়েকটি পরিবার আজও এ কাজে নিয়োজিত আছি। একটি বাঁশ থেকে ১০-১২টি ডালি তৈরি হয়। সকল খরচ বাদ দিয়ে প্রতিটি পণ্য থেকে ১০-২০ টাকা করে লাভ থাকে। তবে বর্তমানে আগের মতো আর বেশি লাভ হয় না। নিজেদেরই বিভিন্ন হাটে গিয়ে ও গ্রামে গ্রামে ফেরি করে এসব পণ্য বিক্রি করতে হয়। বর্তমানে স্বল্প দামে হাতের নাগালে প্লাস্টিক সামগ্রী পাওয়ায় বাঁশ শিল্পের চাহিদা আর নেই।
টিকতে না পেরে এরই মধ্যে পেশাও বদলে ফেলেছেন অনেকে। তবে এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে স্বল্প সুদে ঋণসহ সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক আজিজুল ইসলাম বলেন, বাঁশ ও শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে কৃষকদের সুদমুক্ত ঋণ দেওয়া প্রয়োজন। পাশাপাশি এই পেশার সঙ্গে জড়িতদের নিয়ে আমাদের পরিকল্পনা গ্রহণ করা দরকার।
আগে কোল সম্প্রদায়ের পরিবারগুলোতে সবাই জড়িত ছিল বাঁশের পণ্য তৈরিতে। চাহিদা কমে যাওয়ায় এখন কেবল নারীরাই ধরে রেখেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য।
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত