• সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ১১:৩৬ পূর্বাহ্ন
  • [gtranslate]
শিরোনাম
পটিয়ায় হাইদগাঁও স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শ্যামল দের পদত্যাগের দাবিতে লিপলেট বিতরণ ও প্রতিবাদ সভা গোয়ালন্দে বৃহৎ পরিসরে মেডিকেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের শুভ উদ্বোধন  গোয়ালন্দে হাসপাতালে রোগীর চাপ, হিমশিম ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মী মানিকছড়িতে আ.লীগ নেতাকে পুলিশে সোপর্দ ক্যান্সার চিকিৎসা ও দরিদ্র কন্যার বিয়েতে হাফিজ আহমেদের অনুদান দৌলতদিয়ার প্রকাশ্যে বসে মাদকের হাট! এক ডজন কোটিপতি মাদক ব্যবসায়ী বহাল তবিয়তে লামায় যে বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষায় পাস করেনি কোনো শিক্ষার্থী জামায়াতের ওলামা বিভাগের ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলন অনুষ্ঠিত শান্তি পরিবহনের চাপায় নারী নিহত মিলনপুর বন বিহারে পবিত্র শুভ আষাঢ়ী পূর্ণিমা পালিত তিন পার্বত্যঞ্চলে বড়ুয়া জনগোষ্ঠীর জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জিরোনা পরিবর্তে অস্থায়ী চেয়ারম্যানে নিয়োগ পেলেন শেফালিকা ত্রিপুরা

চীনকে টেক্কা দিতে সাগরতলে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাবল ‘রাজনীতি’

মাসুদ রানা, বিশেষ প্রতিনিধি: / ২৪৬ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : শুক্রবার, ৭ জুলাই, ২০২৩

মাসুদ রানা, বিশেষ প্রতিনিধি:

তাইওয়ান নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব। দ্বন্দ্ব আছে রাশিয়ার পাশে থাকা-না থাকা নিয়েও। সম্প্রতি গোয়েন্দা বেলুন ওড়ানো নিয়েও এক চোট কথার লড়াই চলেছে। চিপ মার্কেট নিয়ে তো দীর্ঘদিন ধরেই চলছে এগিয়ে যাওয়ার প্রতিযোগিতা। যুক্তরাষ্ট্র আর চীনের মধ্যে দ্বন্দ্ব নেই আসলে কী নিয়ে?

এবার দ্বন্দ্বের রেশ দেখা যাচ্ছে সাগরের গভীরেও। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন সে কথাই বলছে। আর রয়টার্সের বার্তা সত্য হলে বলাই যায়, চীনকে টেক্কা দিতে নতুন এক রাজনীতি শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে ‘সাবকম’ নামের নিউজার্সির একটি প্রতিষ্ঠানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। স্নায়ুযুদ্ধের সময় গোয়েন্দা পরিকল্পনার একটি অংশ হিসেবে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এখন এটি চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি প্রতিযোগিতার গুরুত্বপূর্ণ ‘খেলোয়াড়’ হয়ে উঠেছে।

নিউজার্সির প্রতিষ্ঠান সাবকম আসলে কী করছে? সাগরের নিচে ইন্টারনেট ক্যাবল বসানোর কাজ করছে সাবকম। এমন সব এলাকায় এসব ক্যাবল বসানো হচ্ছে, যাতে চীনকে টেক্কা দেওয়া যায়। এসব এলাকায় চীন প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে।

গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের কথা। ভারত মহাসাগরে অবস্থিত দিয়েগো গার্সিয়া দ্বীপে কাজ করছে ক্যাবল জাহাজ সিএস ডিপেনডেবল। এর পর কয়েক মাসের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক এই ঘাঁটির আশপাশে বসানো হয় ফাইবার-অপটিক ক্যাবল।

যুক্তরাষ্ট্র এ প্রকল্পের নাম দিয়েছে বিগ ওয়েব। এসব ক্যাবল ঠিক কত দূর এলাকায় বিস্তৃত, তা জানা যায়নি। তবে এতে ভারত মহাসাগরে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক প্রভাব বেড়ে যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। আর এসব এলাকায় গত এক দশক ধরে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে চীন।

সিএস ডিপেনডেবল নিউজার্সির প্রতিষ্ঠান সাবকমের মালিকানাধীন। স্নায়ুযুদ্ধের সময় সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের সাবমেরিনের ওপর নজরদারির কাজ করত এই সাবকম। আর এখন এর চরিত্র হয়ে গেছে ‘দ্বৈত’।

অ্যালফাবেটের গুগল, আমাজন, মাইক্রোসফট ও মেটার মতো টেক জায়ান্টের সঙ্গে কাজ করছে সাবকম। এদের ফাইবার অপটিক ক্যাবল বসাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।

এত দিন সবাই এটাই জানতেন। কিন্তু সাবকমের কাজ কি শুধু এটিই?

না, সিনেমার বিহাইন্ড দ্য সিনের মতো এখানেও আড়ালের গল্প রয়েছে। সাবকম শুধু প্রযুক্তি জায়ান্টদের হয়ে কাজ করে, এমনটি নয়। রয়টার্স বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর হয়েও কাজ করছে সাবকম। সাগরের নিচে ক্যাবল বসাতে এই প্রতিষ্ঠানকেই কাজে লাগায় মার্কিন সামরিক বাহিনী।

শুধু ক্যাবল বসানোর মধ্যে সাবকমের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ থাকলে কোনো কথা ছিল না। নজরদারি ক্যাবলও বসায় এরা। বিগ ওয়েব প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত ৪ কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে তাঁরা তাঁদের পরিচয় গোপন রেখেছেন।

সাবকমের এই দ্বৈত চরিত্রের কারণে সবচেয়ে বেশি লাভবান হচ্ছে ওয়াশিংটন। বিশ্বে ইন্টারনেটের যে অবকাঠামো গড়ে উঠেছে, তাতে নেতৃত্ব দিতে যুক্তরাষ্ট্রের পথ আরও মসৃণ হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের এই লাভকে দুই ভাগে ভাগ করা যেতে পারে, সামরিক ও অর্থনৈতিক। এমন তথ্যই দিয়েছেন মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করা দুটি ক্যাবল প্রতিষ্ঠান।

প্রতিষ্ঠানগুলো এখন মার্কিন মিত্র রাষ্ট্রের বাইরে কোথাও প্রযুক্তির কার্যক্রম চালানোর ঝুঁকি নিতে পারছে না। আর চীনা প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ হওয়ায় সরকারের ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুযোগ রয়েছে এদের। এ কারণে এসব প্রতিষ্ঠান সরকারের সুনজরেও থাকছে।

ওয়াশিংটন-ভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাংক উইলসন সেন্টারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন প্রকল্পের পরিচালক কেলি উইকার বলেন, গুগল ও সাবকমের মতো মার্কিন প্রতিষ্ঠানের সমুদ্রের তলদেশে আরও ক্যাবল এবং ডেটা সেন্টার বসানোর মানে ওয়াশিংটনের বড় জয়। কারণ, এসব ক্যাবল চীনা সংস্থাগুলোকে ইন্টারনেট হার্ডওয়্যার থেকে দূরে রাখবে। এটি প্রযুক্তিতে চীনের আধিপত্য অনেকটাই কমিয়ে দেবে। আর ভবিষ্যতের প্রযুক্তির নাটাই থাকবে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে।

এখন চীন তা হতে দেবে কি-না সেটিই দেখার বিষয়।

পার্বত্যকন্ঠ নিউজ/রনি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ