• সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ১২:৪২ পূর্বাহ্ন
  • [gtranslate]
শিরোনাম
খাগড়াছড়িতে ফ্রী মেডিক্যাল ক্যাম্পেইন করেছে ২৩ বিজিবি খাগড়াছড়ি ২৯৮ নং সংসদীয় আসনে আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রার্থীতা ঘোষণা মহালছড়ি কাঠ ব্যবসায়ী সমিতির মানবিক উদ্দ্যোগ, ঈদ উপকরণ হিসেবে গরুর মাংস বিতরণ ঈদ-উল আযহা উপলক্ষে পানছড়িতে আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের মাঝে মহাপরিচালকের উপহার সামগ্রী বিতরণ। মহালছড়িতে পালিত হয়েছে বিশ্ব তামাক দিবস ২০২৫ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য দৃষ্টান্ত: পানছড়িতে সেনাবাহিনীর ঈদ উপহার বিতরণ পানছড়িতে দরিদ্র জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানে ছাগল ও শুকর বিতরণ দৌলতদিয়া পোড়াভিটা থেকে মাদক সেবী ও মাদক কারবারি আটক নানিয়ারচরে বিআরডিবির দক্ষতা ভিত্তিক প্রশিক্ষণ গোয়ালন্দে বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস উপলক্ষে অবস্থান কর্মসূচি পালিত খাগড়াছড়িতে আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে ভিজিএফ (চাউল) বিতরণ মহেশখালীতে আধুনিকতার ছোঁয়ায় বদলে গেছে হাসপাতালে স্বাস্থ্য সেবা

৭ বছেরর শিশু আরিফ’কে বাঁচাতে মানবিক সাহায্যের এগিয়ে আসুন

হ্যাপী করিম, স্টাফ রিপোর্টার (মহেশখালী) কক্সবাজার: / ২৩১ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : শুক্রবার, ৯ জুন, ২০২৩

মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের উত্তর খোন্দকারপাড়ার অসহায় জেলে সাইফুল ইসলামের পুত্র ছবির এই প্রাণচঞ্চল, সদা হাস্যোজ্জ্বল, সদ্য ৭ বছরের শিশু আরিফুর ইসলাম ছেলেটিই ক্রমশ মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছে এক পা এক পা করে। জটিল কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে চিকিৎসাধীন তার একটি কিডনিই ড্যামেজের দ্বারপ্রান্তে।
একটি সুবাসিত ফুল যা কিনা পূর্ণ প্রস্ফুটিত হওয়ার আগেই ঝরে পড়তে চলেছে। ভাবতেই মনটা বিষন্নতায় ভার হয়ে যায়। দুই বোন ও দুই ভাইয়ে মধ্যে আরিফ দ্বিতীয় সন্তান। সন্তানের এই অবস্থাতে মা-বাবা জীবিত অবস্থায় কিভাবে সহ্য করে তা হয়তো আমাদের অনুভূতি দিয়ে সবাই বুঝতে পারি।

সম্ভবত পৃথিবীতে সবচেয়ে ভারী বস্তুটিই হচ্ছে পিতার কাধে সন্তানের লাশ। সন্তানের মৃত মুখ দেখার চাইতে মৃত্যুবরণ করাটা সব পিতামাতাই কামনা করেন। টাকার অভাবে এখন কক্সবাজারে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য অবস্থান করছে।

আরিফুল ইসলামের পিতা পেশা জেলে, মা গৃহীত নুন আনতে পান্তা ফুরায় তাদের সংসারে, পিতা সাইফুল ইসলাম জানান..

তাদের পরিবারের সাথে কথা বলে যতটুকু জানতে পেরেছি আরিফুল ইসলাম কিডনি ডোনার প্রাপ্তি সাপেক্ষে দীর্ঘ মেয়াদি ঔষধ সেবন ও আনুষাঙ্গিক ব্যয় বাবদ প্রতি মাসে ১৫-২০ হাজার টাকা সেটা কম করে হলেও তিন-চার বছর ডাক্তার চালিয়ে নিতে হবে জানান। এত টাকা আরিফ মতো নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য অসম্ভব বৈ আর কিছু নয়। এরইমধ্যে আরিফ এর ঘনিষ্ঠ আত্মীয় ও এলাকাবাসী, পাড়াপড়শিদের প্রচেষ্টায় আরিফ চিকিৎসা নেওয়ার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠায়, বর্তমানে শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

বাকিটা এখনো বহু দূরের পথ। আমার পূর্ববর্তী কথায় আপনারা সবাই তা বুঝতে পেরেছেন। আরিফের একজন আপনজন হিসেবে আমি সমাজের বিত্তশালী, জনপ্রতিনিধি, সরকারি/বেসরকারি চাকুরে, প্রবাসী ভাই-বোন সবার কাছে ফরিয়াদ জানাচ্ছি আসুন আমাদের সবার প্রচেষ্টায় একটি সুন্দর ফুলকে পরিপূর্ণভাবে ফুটতে সাহায্য করি।

হয়তো আমাদের অল্প অল্প দান/ অনুদান মহান আল্লাহর রহমতে আরিফুল ইসলামের মা-বাবার বুকটাকে শান্ত করে দিতে পারে। আল্লাহ আপনাদের হয়তো এই মহতি কাজের উত্তম বিনিময় দান করবেন। আসুন আমরা সবাই যার যার অবস্থান থেকে এই শিশু ছেলেটাকে বাঁচানোর জন্য এগিয়ে আসি।

পরিশেষে সবার কাছে এই আবেদন আমাদের সবাইকে পারস্পরিক ভাতৃত্ব বোধে উদ্ধুদ্ধ করে এই যুদ্ধে সামিল হওয়ার সুযোগ করে দেন এবং সকলের আপদ-বিপদ, বালা-মছিব্বত থেকে আল্লাহ হেফাজত করেন। কারণ উনিই সর্বোত্তম হেফাজতকারী।

আপনাদের যেকোনো দান/ অনুদানের জন্য বিকাশ করুন নিম্নোক্ত নাম্বারে: 01890-659617 পরিবার।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ