একটি সুবাসিত ফুল যা কিনা পূর্ণ প্রস্ফুটিত হওয়ার আগেই ঝরে পড়তে চলেছে। ভাবতেই মনটা বিষন্নতায় ভার হয়ে যায়। দুই বোন ও দুই ভাইয়ে মধ্যে আরিফ দ্বিতীয় সন্তান। সন্তানের এই অবস্থাতে মা-বাবা জীবিত অবস্থায় কিভাবে সহ্য করে তা হয়তো আমাদের অনুভূতি দিয়ে সবাই বুঝতে পারি।
সম্ভবত পৃথিবীতে সবচেয়ে ভারী বস্তুটিই হচ্ছে পিতার কাধে সন্তানের লাশ। সন্তানের মৃত মুখ দেখার চাইতে মৃত্যুবরণ করাটা সব পিতামাতাই কামনা করেন। টাকার অভাবে এখন কক্সবাজারে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য অবস্থান করছে।
আরিফুল ইসলামের পিতা পেশা জেলে, মা গৃহীত নুন আনতে পান্তা ফুরায় তাদের সংসারে, পিতা সাইফুল ইসলাম জানান..
তাদের পরিবারের সাথে কথা বলে যতটুকু জানতে পেরেছি আরিফুল ইসলাম কিডনি ডোনার প্রাপ্তি সাপেক্ষে দীর্ঘ মেয়াদি ঔষধ সেবন ও আনুষাঙ্গিক ব্যয় বাবদ প্রতি মাসে ১৫-২০ হাজার টাকা সেটা কম করে হলেও তিন-চার বছর ডাক্তার চালিয়ে নিতে হবে জানান। এত টাকা আরিফ মতো নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য অসম্ভব বৈ আর কিছু নয়। এরইমধ্যে আরিফ এর ঘনিষ্ঠ আত্মীয় ও এলাকাবাসী, পাড়াপড়শিদের প্রচেষ্টায় আরিফ চিকিৎসা নেওয়ার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠায়, বর্তমানে শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
বাকিটা এখনো বহু দূরের পথ। আমার পূর্ববর্তী কথায় আপনারা সবাই তা বুঝতে পেরেছেন। আরিফের একজন আপনজন হিসেবে আমি সমাজের বিত্তশালী, জনপ্রতিনিধি, সরকারি/বেসরকারি চাকুরে, প্রবাসী ভাই-বোন সবার কাছে ফরিয়াদ জানাচ্ছি আসুন আমাদের সবার প্রচেষ্টায় একটি সুন্দর ফুলকে পরিপূর্ণভাবে ফুটতে সাহায্য করি।
হয়তো আমাদের অল্প অল্প দান/ অনুদান মহান আল্লাহর রহমতে আরিফুল ইসলামের মা-বাবার বুকটাকে শান্ত করে দিতে পারে। আল্লাহ আপনাদের হয়তো এই মহতি কাজের উত্তম বিনিময় দান করবেন। আসুন আমরা সবাই যার যার অবস্থান থেকে এই শিশু ছেলেটাকে বাঁচানোর জন্য এগিয়ে আসি।
পরিশেষে সবার কাছে এই আবেদন আমাদের সবাইকে পারস্পরিক ভাতৃত্ব বোধে উদ্ধুদ্ধ করে এই যুদ্ধে সামিল হওয়ার সুযোগ করে দেন এবং সকলের আপদ-বিপদ, বালা-মছিব্বত থেকে আল্লাহ হেফাজত করেন। কারণ উনিই সর্বোত্তম হেফাজতকারী।
আপনাদের যেকোনো দান/ অনুদানের জন্য বিকাশ করুন নিম্নোক্ত নাম্বারে: 01890-659617 পরিবার।