বান্দরবানের লামা উপজেলার বৃহত্তর ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নকে ভেঙ্গে ২টি নতুন ইউনিয়ন (ফাঁসিয়াখালী ও ইয়াংছা) গঠনে বিভক্তের বিষয়ে অভিযোগের প্রেক্ষিতে গণশুনানির অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ইয়াংছা উচ্চ বিদ্যালয়ের মিলনায়তনে এই গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
সরকারের পক্ষে গণশুনানি গ্রহণ করেন, লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মোস্তফা জাবেদ কায়সার। আরো উপস্থিত ছিলেন, ফাঁসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল হোসাইন চৌধুরী, ইয়াংছা উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি জাহানারা আরজু, উপজেলা কানুনগো রাপ্রু মগ, উপজেলা পরিষদের প্রধান অফিস সহকারী বাবুল কান্তি চক্রবর্তী, সমাজসেবক মমতাজুল ইসলাম সহ প্রমূখ। এছাড়া জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, এলাকার মুরুব্বি ও কয়েক হাজার সাধারণ জনসাধারণ শুনানিতে অংশ নেন।
গণশুনানিতে অংশ নেয়া ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৪ ও ৫নং ওয়ার্ডের কুমারী, রাঙ্গাঝিরি, খালখুইল্যাখোলা, বড় ছনখোলা সহ ৫টি গ্রামের দুই সহস্রাধিক জনগন কুমারী ও রাঙ্গাঝিরি সহ ৫টি গ্রাম নতুন প্রস্তাবিত ইয়াংছা ইউনিয়নের অংশ করার জোর অনুরোধ করেন। যদি নতুন ইউনিয়ন করার প্রস্তাবে এই গ্রাম গুলোকে ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের অংশ হিসাবে প্রস্তাব করা হয়।
অন্যদিকে ফাঁসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান ও মৌজা হেডম্যানগণ সাঙ্গু ও ইয়াংছা দুইটি মৌজা নিয়ে ইয়াংছা ইউনিয়ন এবং ফাঁসিয়াখালী ১টি মৌজা নিয়ে ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন করার প্রস্তাব দেয়।
শুনানিতে লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মোস্তফা জাবেদ কায়সার বলেন, শুনানিতে সকলের দেয়া বক্তব্য ও প্রস্তাব গুলো গুরুত্ব সহকারে নোট নেয়া হয়েছে। বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
এম/এস