রাতের আধাঁরে নদী পথে পাচারকালে পৃথক দুইটি অভিযানে ১২টি গরু-মহিষ আটক করেছে লামা থানা পুলিশ। বুধবার (২৬ অক্টোবর) ভোর ৬টায় লামা পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড শিলেরতুয়া এলাকায় ৬টি এবং সকাল ৯টায় পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড লামামুখ হতে ৬টি মোট ১২টি গরু-মহিষ আটক করা হয়।
লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহীদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, নদী পথে মিয়ানমার হতে আসা চোরাই গরু পাচার হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভোর ৬টায় লামা পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড শিলেরতুয়া এলাকায় ৩টি মহিষ ও ৩টি গরু এবং সকাল ৯টায় পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড লামামুখ-কুড়ালিয়া টেক এলাকা হতে ৬টি গরু মোট ১২টি গরু-মহিষ আটক করা হয়। শিলেরতুয়া হতে আটক মহিষ ও গরু ৬টি মালিকানা যাচাই করতে দুপুরে লামা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠালে আদালত কাগজপত্র যাচাই করে গরুর প্রকৃত মালিক মোঃ ইউনুচ মিয়াকে জিম্মায় দেয়।
তিনি আরো বলেন, অপরদিকে লামামুখ-কুড়ালিয়া টেক হতে আটক ৬টি গরু লামা থানার জিম্মায় আছে। এই চালানে আরো গরু আছে মর্মে পুলিশের অভিযান চলমান আছে। বৃহস্পতিবার এ গরু গুলো আদালতে পাঠানো হবে। বিজ্ঞ আদালত এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিবেন। আটককৃত গরু গুলোর দেশীয় না বিদেশী এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আদালত চাইলে তা উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা দিয়ে নিশ্চিত হতে পারেন।
আদালত হতে ৬টি গরুর মালিকানা নিশ্চিত হয়ে জিম্মায় নেয়া গরু ব্যবসায়ী মোঃ ইউনুচ মিয়া বলেন, আমরা গরু নিয়ে আনার সময় কিছু লোক আমাদের কাছে চাঁদা দাবী করে। আমরা চাঁদাবাজি বন্ধে আইনের সহায়তা কামনা করব।
এম/এস