বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির সদরের চাকঢালা থেকে দোছড়ি পর্যন্ত দীর্ঘ সীমান্তে প্রায় একই সময়ে শুরু হয় বিস্ফোরণের তুমুল আওয়াজ। সীমান্তে একাধিক লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শনিবার (২২ অক্টোবর) দুপুর থেকে চাকঢালা আমতলী মাঠের সীমানা পিলার ৪৩ থেকে ৫০ পিলার ফুলতলী পযর্ন্ত একটু পরপর তুমুল গোলাগুলি সঙ্গে আর্টিলারি মর্টার শেল এর বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে আমতলী মাঠ থেকে দৌছড়ির লেবুছড়ি পর্যন্ত।
মিয়ানমারের সামান্য ভিতর থেকে আসা এই আওয়াজ স্থায়ী হয় দুপুর একটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত। সীমান্তের লোকজন জানান, মিয়ানমার সেনাবাহিনী এবং আরকান আর্মির মাঝে নিজেদের আধিপত্যকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষের কারণ।
জামছড়ির বাসিন্দা মো. রহমান জানান, অনেক দিন আরকান আর্মি মিয়ানমারের সীমান্তে ছিলনা। তারা মিয়ানমারের অনেক ভিতরে চলে গিয়েছিলো। কিন্তু গত এক সপ্তাহ ধরে আবারো ফিরে এসেছে মিয়ানমার সিমান্তের কাছাকাছি।
সীমান্তের আরেক বাসিন্দা বলেন, মিয়ানমার সীমান্ত এলাকার অনেক গুলো অবজারভেশন পোস্ট হাতছাড়া হয়েছে বিজেপির। হারানো অবজারভেশন পোস্টগুলো নিয়ন্ত্রণ করছে বতর্মানে আরকান আর্মি আর সেগুলো পূনরুদ্ধারে মরিয়া হয়ে উঠেছে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সদস্যরা। সে কারণে চলমান এই অস্থিতিশীল পরিবেশ না কমে বরং বাড়ছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন জানান, জামছড়ি এলাকার বর্তমান অবস্থা ভয়াবহ। তিনি ঐ এলাকাতে অবস্থান করছেন। মিয়ানমারের অভ্যন্তর থেকে কম হলেও ১৫ রাউন্ড গুলি বাংলাদেশের ভিতরে এসে পড়েছে সন্ধ্যা ৬ টা ৩০মিনিট পযর্ন্ত, সীমান্ত পরিস্থিতি চরম ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার কারণে জামছড়ি এলাকার সীমান্ত ঘেঁষা ৩০ পরিবারকে সরিয়ে আনা হয়েছে নিরাপদ স্থানের এক স্কুলে।
এ বিষয়ে জামছড়ি ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার ছাবের বলেন, তার জীবনে এই প্রথম এমন গুলি এবং আর্টিলারি মর্টার শেল বিস্ফোরণের টানা আওয়াজ শুনেছেন। এমন অবস্থায় তিনি এবং এলাকাবাসী বেশ আতঙ্কিত।
এম/এস