যশোরের শার্শায় পাওনা টাকা চাওয়ায় আতিকুর রহমান নামে এক ব্যক্তিকে সিনেমা স্টাইলে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে এসে বেদম মারপিট ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
গত ২৭/০২/২০২২ ইং তারিখ রবিবার উপজেলার রুদ্রপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আতিকুর রহমান রুদ্রপুর গ্রামের নওশের আলীর ছেলে। সে বর্তমানে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ১৬ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ বিষয়ে শার্শা থানায় ঘটনার মূল আসামী শুকুর আলী সহ ৪ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ৩০ থেকে ৪০ জনকে অজ্ঞাত রেখে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের কেরেছেন নির্যাতনের স্বীকার আতিকুর রহমান। অভিযুক্ত শুকুর আলী ওই গ্রামের মৃত মিয়ারাজ আলীর ছেলে।
শার্শা থানায় দায়েরকৃত অভিযোগের ভিত্তিতে নির্যাতিত আতিকুর রহমান বলেন, ঘটনার দিন আনুমানিক বিকাল ৩ ঘটিকার সময় আমি বাড়িতে ঘুমাচ্ছিলাম।
হঠাৎ বাড়ির মধ্যে ২০/২৫ টি মোটরসাইকেলে ৩০/৪০ জন আমার ঘরে ঢুকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে এবং আমাকে লাথি ও কিল ঘুষি মারতে মারতে ঘর থেকে বাহিরে বের করে এনে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে মারাত্মক ভাবে আহত করে।
এক পর্যায়ে আমার গলায় চাকু ঠেকিয়ে মেরে ফেলার হুমকি ধামকি দিতে থাকলে এসময় আমার স্ত্রী তাদেরকে বাঁধা দিলে তারা আমার স্ত্রীকে শারীরিক ভাবে নির্যাতন ও মারধর করে।
পরে আমাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে বাগআঁচড়া বাজারে নিয়ে এসে হত্যা ও গুমের হুমকি দিয়ে আমাকে দিয়ে জোর করে ব্লাঙ্ক চেকে স্বাক্ষর করে নেয় তারা।
অভিযোগে উল্লেখ থাকে যে, বিগত দুই মাস আগে একই রকম ভাবে পাওনা টাকা চাওয়ায় টাকা না দিয়ে হুমকি ধামকি দিলে শার্শা থানায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন আতিকুর।
এখন পূণরায় টাকা চাইলে একই রকম ভাবে হুমকি ধামকি প্রদান করছে শুকুর আলী ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী। নিজের জীবন সহ পরিবারের সদস্যদের জীবনের নিরাপত্তা জন্য থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। আমি প্রশাসনের কাছে সাহায্যে প্রার্থনা করছি বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে যেন আইনানুগ ব্যবস্থা করেন।
শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মামুন খান বলেন, রুদ্রপুর গ্রামের ঘটনার বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এম/এস