চরফ্যাসন দুলারহাট থানার নীলকমল ইউনিয়নের চরযমুনা গ্রামে চলছে প্রতিদিন লাগামহীন জুয়া খেলা। একাধিকবার থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করলেও পুলিশ এখনো পর্যন্ত কোন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করেননি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
অনুসন্ধানে জানাযায়, নীলকমল ৪নং ওয়ার্ডের আবুল কালাম ওরুপে কালা মিয়ার বাগানে প্রতিদিন চলছে জুয়া খেলা। একই ওয়ার্ডের আজর ব্যাপারীর বাড়ির লাল মিয়ার ছেলে মোঃ রনি (৩০) এর নেতৃত্বে প্রতিদিন ওই স্থানে জুয়ার আসর বসানো হয়। স্থানীয়রা বিভিন্নভাবে এ জুয়ার আসর বন্ধের চেষ্টা করলেও কোনভাবেই লাগাম টেনে ধরতে পারছেনা এ জুয়ারি রনি ও তার সাঙপাঙদের। অনেকটা প্রকাশ্যে চলছে এ জুয়ার আসর। জুয়ার স্পটটির চারিদিকে ফসলী জমি এবং জলাবদ্ধতা থাকায় পুলিশও কোন অভিযান পরিচালনা করতে পারছেনা। এছাড়াও পুলিশকে এড়ানোর জন্য জুয়ার স্পটটির চারপাশে নিযুক্ত করা হয়েছে জুয়ারীদের তরফ থেকে বেতনভুক্ত সোর্স। এ সকল সোর্সরা রাস্তার বিভিন্ন পয়েন্টে বসে থাকে। কোনো ধরনের সমস্যা দেখলেই মূহুর্তের মধ্যে মুঠোফোনে জুয়ারিদের জানিয়ে দেয় এ সোর্স নামক ব্যক্তিরা। শুধু তাই নয় চলমান বর্ষাকালের প্রচন্ড ঝড় বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে ওই বাগানে পলিথিনের তৈরি একধরনের তাবু টানিয়ে জুয়ার আসর বসনো হয়। বাগানের মালিক ঢাকায় বসবাস করায় এবং ওই স্থানে লোকজনের যাতায়াত না থাকায় এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে জুয়ারি রনি দীর্ঘদিন জুয়ার আসর পরিচালনা করে জুয়ারিদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অনুসন্ধানে জানা গেছে।
স্থানীয় বাবুল মৌলবী জানান, এ জুয়া খেলার কারনে আমাদের সমাজে চুরি ও অপরাধ প্রবনতা বেড়ে গেছে। অচিরেই ওই জুয়ারি রনির লাগাম টেনে না ধরলে যুবসমাজের উপর এর খারাপ প্রভাব পড়বে।
চরযমুনা মিঝি বাড়ীর জামে মসজিদ কমিটির সাধারন সম্পাদক মোঃ ফরিদ মিয়া জানান,এ জুয়া খেলা বন্ধ করতে এবং জুয়ারিদেরকে সচেতন করতে আমি জুমার নামাজের পূর্বে ইমাম সাহেবকে দিয়ে একাধিকবার এর কুফল সম্পর্কে আলোচনা করিয়েছি। এরপরে আমাদের সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে সাথে নিয়ে কঠোরভাবে জুয়ারিদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছি। দুলারহাট থানার ওসি স্যারকেও এ বিষয়টি অবহিত করেছি। এরপরেও এরা আমাদের চক্ষুর অন্তরালে জুয়া খেলা চালিয়ে যাচ্ছে বলে শুনেছি।
এ ব্যপারে দুলারহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরাদ হোসেন জানান, জুয়া ও মাদকের বিরুদ্ধে আমদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গত কয়েক মাসে আমরা ১৫ থেকে ২০ জন জুয়ারিদের গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেছি। খুব শীগ্রহী ওই স্থানে অভিযান পরিচালনা করে জুয়ার সাথে জড়িতদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।