• শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম
বেড়াতে আসুন রূপের রাণী বান্দরবানে লামায় কার্প জাতীয় মাছের মিশ্রচাষ বিষয়ক প্রশিক্ষণ ইতিহাদ এর উদ্যোগে লামায় জাতীয় মেধাবৃত্তি পরীক্ষা-২০২৪ অনুষ্ঠিত সরকারি পুকুরে মাছ শিকারের অভিযোগে লক্ষ টাকা জরিমানা করল উপজেলা প্রশাসন আগামীকাল শনিবার কাপ্তাইয়ে অনুষ্ঠিত হবে জোন কমাণ্ডার’স স্কলারশিপ: অংশ নিচ্ছেন ৫১২ জন শিক্ষার্থী খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাব’র অন্তবর্তীকালীন কমিটির সাধারণ সভা ও পার্বত্যাঞ্চলের গুণী সাংবাদিকদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত নদীর পাড়ে তামাক চাষ বন্ধে বিএটিবি’র কৃষক সমাবেশ আঞ্চলিক পরিষদ পুনর্গঠনের দাবিতে মানিকছড়িতে ইউপিডিএফের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ বান্দরবানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বই ও শিক্ষা উপকরণ উপহার প্রদান চাঁদার টাকা না দিলে হামলা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে -সন্ত্রাসী রকি গ্রুপ ১ যুগ পর মহালছড়ি গণতান্তিক উপায়ে বাজার ব্যবসায়ী কমিটি গঠন ওলামা বাজার মাদ্রাসার বিরুদ্ধে ফেসবুকে অপপ্রচারের প্রতিবাদে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের সংবাদ সম্মেলন

স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে চলছে তামাক চাষ

কাপ্তাই (রাঙ্গামাটি) প্রতিনিধিঃ / ৬০৩ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ৮ এপ্রিল, ২০২১

রাঙ্গামাটি জেলার বরকল,লংগদু,বাঘাইছড়ি,জুরাইছড়িসহ বিভিন্ন উপজেলাতে স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়েই ব্যাপক হারে বেড়েছে তামাকচাষ। এরমধ্যে বরকল উপজেলার প্রায় ৬৫ ভাগ আবাদী জমিতে তামাকের আবাদ হয়েছে।

বিগত বছর গুলোতে তামাক চাষে তেমন লাভবান হলেও বিকল্প কোন চাষ সম্পর্কে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ ও যোগান না থাকায় এবং কৃষি অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মচারীদের উদাসীনতায় উৎসাহিত হয়েছে তামাক চাষীরা।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, উৎপাদন খরচ বাদ দিয়েও তামাক চাষীরা বিঘা প্রতি ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত পেয়ে থাকে।

এ সুযোগে তামাক উৎপাদনে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলো কৃষকের মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।
অন্যদিকে, খাদ্যশষ্য উৎপাদনের জমি তামাক চাষের কাজে অধিক হারে ব্যবহৃত হওয়ায় এবার বোরো চাষ কমে যাচ্ছে।
এতে রুপের রানী রাঙ্গামাটির প্রাকৃতিক রুপের স্বীকৃতি ধীরে ধীরে হারাতে বসেছে। ফলে মারাত্মক ভাবে পরিবেশ সংকটের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

 

তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, স্বাভাবিক নিয়মের দ্বিগুণ হারে এ জেলায় আবাদি জমির পরিমাণ কমছে। এর প্রধান কারণ অস্বাভাবিক ভাবে নতুন করে গড়ে উঠা ইটভাটা,জুমচাষ ও তামাক চাষে ঝুঁকে পড়া। উপজেলায় খাদ্যশষ্য উৎপাদনের জমি অধিকহারে তামাক চাষে ব্যবহৃত হচ্ছে। এবার অন্যান্য ফসলের আবাদ তুলনামূলক কম হওয়ায় রাঙ্গামাটির এসব উপজেলায় খাদ্য উৎপাদন কম হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।তামাক পক্রিয়াজাত করার জন্য প্রতি বছর ব্যাপক হারে বৃক্ষ নিধন করছেন চাষীরা।যার প্রভাব সরাসরি পরিবেশের ওপড় পড়ছে।

সংশ্লিষ্ট কৃষি আফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর রাঙ্গামাটির এসব অঞ্চলে আবুল খায়ের টোব্যাকো কোম্পানি , ঢাকা টোব্যাকোএবং ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানির পৃষ্ঠপোষকতায় (কমবেশী)তামাক চাষ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মো মামুনর রশীদ মামুন
জানান, সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা বরকল উপজেলায়। এই উপজেলায় আবাদি জমির বেশির ভাগ অংশের জমিতে তামাকের আবাদ হচ্ছে। এখানকার জমির বর্গামূল্য এমনই যে শুধুমাত্র তামাক চাষকালীন সময়ে (সাড়ে ৪ মাসের জন্য) ১ বিঘা জমিতে ৮ থেকে ১৫ হাজার টাকায় লিজ দেয়া হয়।

স্থানীয় সচেতন মহলদের আরো কিছু ব্যাক্তি জানান, এভাবে যদি কৃষি বিভাগ উদাসীনতা দেখায় তাহলে সাধারণ চাষিদের তামাক চাষ করা ছাড়া আর উপায় কি? গাংনী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীদের গাফিলতি, প্রশিক্ষণে স্বজনপ্রীতি, সরকারী প্রণোদনা তালিকা করায় গড়িমসি, আধুনিক যন্ত্রপাতি বিতরণে অনিয়ম, কর্তব্য অবহেলার কারণে এবার তামাকের চাষে ঝুঁকে পড়ছে এ এলাকার কৃষকরা।

তামাক চাষী বরকল উপজেলার এরাবুনিয়া গ্রামের মো রহিম ও এমদাদুল হক মিলন এবং আসাদুজ্জামান জানান, বিঘা প্রতি জমিতে তামাক চাষে বীজ, সার, কীটনাশক ও পরিচর্যাসহ মোট ব্যয় হয় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা যা তামাক উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো সহজ শর্তে সম্পূর্ণ বহন করে। একারণে সাধারণ চাষীরা তামাক চাষে আসক্ত হয়ে পড়েছে।

বরকল উপজেলা মাঠ পর্যায়ের সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অনুপ দত্ত জানান, তামাক চাষে জমির উর্বরতা কমে যায়। এমন একটা সময় আসবে যখন তামাক চাষের ফলে উপজেলায় আর কোন ফসলের চাষ করা সম্ভব হবেনা।

তারপরেও বর্তমানে ধানের বাজার মূল্য বেশী হওয়ায় চাষীরা বোরো চাষে এগিয়ে আসছে। পাশাপাশি ইতোমধ্যেই অনেক চাষী সবজি চাষে লাভবান হওয়ায় আগ্রহ বাড়ছে। এক সময় এ অঞ্চলে তামাক চাষ কমে আসবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ