• শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:০৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম
ধর্মের ভিত্তিতে কোন ধরনের বিভাজন দেখতে চায়না জামায়াত: রামগড়ে অধ্যক্ষ আমিরুজ্জামান কাপ্তাইয়ে রুপসী কাপ্তাইয়ের ৪০ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে নানা আয়োজন খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট এর শুভ উদ্বোধন করলেন – ২০৩ পদাতিক খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো. আমান হাসান খাগড়াছড়ি বাইতুশ শরফ জব্বারিয়া আদর্শ আলিম মাদ্রাসায়  অভিভাবক সম্মেলন অনুষ্ঠিত মহালছড়ি উপজেলা বাজারে মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করেছে বিশেষ টাস্কফোর্স কমিটি রামগড়ে জামায়াতে ইসলামের কর্মী ও সুধী সমাবেশ   সাফ জয়ী জাতীয় দলের কৃতি ফুটবলার মনিকা চাকমাকে সংবর্ধনা দিলেন সেনাবাহিনীর গুইমারা রিজিয়ন ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে কাপ্তাইয়ে অনুষ্ঠিত হলো জোন কমাণ্ডার’স স্কলারশিপ খাগড়াছড়ি ক্বওমী মাদরাসা ও ওলামা ঐক্য পরিষদ রামগড় উপজেলা শাখার দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল সম্পন্ন ঐতিহ্য ফিরে আসুক বান্দরবানে-থানজামা লুসাই রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) নিয়োগ লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত বাঙ্গালহালিয়া ভিমাছড়া সার্বজনীন শ্রী শ্রী পঞ্চায়েত সংঘের উদ্যোগে গীতা পাঠ

লামার মেরাখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শ্রেণিকক্ষ ৯টি, শিক্ষক ৪ জন !

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, নিজস্ব সংবাদদাতা, লামা / ২৭৪ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর, ২০২২

শুধুমাত্র শিক্ষক সংকটে একটি বিদ্যালয়ের লেখাপড়া ধ্বংসের পথে। যার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত লামা উপজেলার সদর ইউনিয়নের “মোরখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়”। সব থাকলেও শিক্ষক সংকটে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। মাত্র ৪ জন শিক্ষক দিয়ে চলছে বিদ্যালয়ের প্রাক-প্রাথমিক থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত ৯টি শ্রেণিকক্ষের ৫৩২ জন শিক্ষার্থীর পড়ালেখা। বিদ্যালয়ে অবকাঠামোগত সমস্যা না থাকলেও শিক্ষক স্বল্পতার কারণে গুণগত ও মানসম্মত শিক্ষাদান করা সম্ভব হয়ে উঠছে না বলে জানান বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশীষ কুমার দত্ত।

জানা যায়, লামা ইউনিয়ন সদরের প্রাণকেন্দ্রে মনোরম পরিবেশে ১৯৬৫ সালে বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। বিদ্যালয়টি গুণগত ও মানসম্মত পাঠদানের কারণে বিগত সময়ে উপজেলার প্রথম সারির একটি বিদ্যালয় হিসাবে পরিচিত ছিল। যার দরুন ২০১৩ সালে প্রণীত জাতীয় শিক্ষানীতিতে প্রাথমিক শিক্ষার মেয়াদ ৫ বছর থেকে বাড়িয়ে ৮ বছর করার প্রস্তাবের অংশ হিসাবে এই বিদ্যালয়টিকে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত উত্তীর্ণ করা হয়। স্কুলটি শ্রেণিকক্ষ বাড়ানো হলেও অবকাঠামো, শিক্ষক ও শিক্ষা উপকরণ বর্ধিত করা হয়নি।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক আশীষ কুমার দত্ত জানান, পরিচালনা পর্ষদ, শিক্ষক মণ্ডলী ও অভিভাবকদের আন্তরিকতার কারণে অত্র বিদ্যালয়ের লেখাপড়ার মান ভাল। ৯টি শ্রেণিকক্ষে ৫ শতাধিক শিক্ষার্থীর বিদ্যালয়ে নিয়মিত ক্লাস করে। এ বছর পিএসসি পরীক্ষায় শতভাগ উত্তীর্ণ হয়েছে। বিদ্যালয়ে ৭ জন শিক্ষক নিয়োগপ্রাপ্ত রয়েছেন। এরমধ্যে ৩ জনেই মাতৃত্বকালীন ছুঁটিতে রয়েছেন। বর্তমানে মাত্র ৪ জন শিক্ষক দিয়ে পাঠদান করতে আমাদের খুব কষ্ট হয়। ৪ জন শিক্ষকের পক্ষে ৫ শতাধিক শিক্ষার্থীকে পাঠদান করানো কষ্টসাধ্য। আমরা বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি, কোন কাজ হয়নি।’

অভিভাবকরা বলেন, উপজেলার অনেক স্কুলে ৬টি শ্রেণিকক্ষের জন্য ১০/১২ জন শিক্ষক দায়িত্বে রয়েছেন। অথচ মেরাখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪ জন শিক্ষক দিয়ে এখন পাঠদান করানো হচ্ছে। শিক্ষকের অভাবে ভালো স্কুলটি খারাপ হয়ে যাচ্ছে। স্কুলের নব-নির্বাচিত সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান মিন্টু কুমার সেন বলেন, নতুন শিক্ষক বাড়ানোর বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউএনও ও শিক্ষা অফিসারকে অবগত করা হবে।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তপন কুমার চৌধুরী জানান, ‘পুরো উপজেলার অনেক স্কুলে আমাদের শিক্ষক স্বল্পতা রয়েছে। শিগগিরই ওই স্কুলের শিক্ষক ঘাটতি পূরণ করা হবে।’

এম/এস


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ