• বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:১২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
দীর্ঘ দেড় যুগ পর কাল মানিকছড়িতে বড়সড় আয়োজনে বিএনপি’র সম্প্রীতি সমাবেশ লংগদুতে কৃষি ব্যাংকের ভুয়া ঋণের ফাঁদে আটারকছড়া ইউনিয়নের শতাধিক পরিবার ১২ লক্ষ্য টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোর্টে মামলা খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদে জিরুনা ত্রিপুরাকে চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়ার প্রতিবাদ ও সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত কাপ্তাই ব্যাটালিয়ন (৪১ বিজিবি) এর প্রশংসনীয় উদ্যোগ: দূর্গম সীমান্তবর্তী পুন্নমনিছড়া পাড়ায় স্কুল ঘর নির্মাণ রোয়াংছড়ির সহ বিভিন্ন পয়েন্টে ভ্রাম্যমান টহল কার্যক্রম পরিচালনায় -ক্যাম্প কমান্ডার মেজর ইয়াসিন মোহনা টেলিভিশনের ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করলেন ২০৩ পদাতিক ব্রিগেড ও রিজিয়ন কমান্ডার শরীফ মো. আমান হাসান আলীকদমের দুর্গম সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশকালে ৮১ জন রোহিঙ্গা নাগরিক আটক মনাটেক যাদুগানালা মৎস চাষ সমবায় সমিতির আমন্ত্রণে পার্বত্য উপদেষ্টার আগমন মহালছড়িতে লামায় ডিগ্রি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ গোয়ালন্দে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও র‍্যালি অনুষ্ঠিত

লামার মেরাখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শ্রেণিকক্ষ ৯টি, শিক্ষক ৪ জন !

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, নিজস্ব সংবাদদাতা, লামা / ২৬৯ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর, ২০২২

শুধুমাত্র শিক্ষক সংকটে একটি বিদ্যালয়ের লেখাপড়া ধ্বংসের পথে। যার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত লামা উপজেলার সদর ইউনিয়নের “মোরখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়”। সব থাকলেও শিক্ষক সংকটে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। মাত্র ৪ জন শিক্ষক দিয়ে চলছে বিদ্যালয়ের প্রাক-প্রাথমিক থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত ৯টি শ্রেণিকক্ষের ৫৩২ জন শিক্ষার্থীর পড়ালেখা। বিদ্যালয়ে অবকাঠামোগত সমস্যা না থাকলেও শিক্ষক স্বল্পতার কারণে গুণগত ও মানসম্মত শিক্ষাদান করা সম্ভব হয়ে উঠছে না বলে জানান বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশীষ কুমার দত্ত।

জানা যায়, লামা ইউনিয়ন সদরের প্রাণকেন্দ্রে মনোরম পরিবেশে ১৯৬৫ সালে বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। বিদ্যালয়টি গুণগত ও মানসম্মত পাঠদানের কারণে বিগত সময়ে উপজেলার প্রথম সারির একটি বিদ্যালয় হিসাবে পরিচিত ছিল। যার দরুন ২০১৩ সালে প্রণীত জাতীয় শিক্ষানীতিতে প্রাথমিক শিক্ষার মেয়াদ ৫ বছর থেকে বাড়িয়ে ৮ বছর করার প্রস্তাবের অংশ হিসাবে এই বিদ্যালয়টিকে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত উত্তীর্ণ করা হয়। স্কুলটি শ্রেণিকক্ষ বাড়ানো হলেও অবকাঠামো, শিক্ষক ও শিক্ষা উপকরণ বর্ধিত করা হয়নি।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক আশীষ কুমার দত্ত জানান, পরিচালনা পর্ষদ, শিক্ষক মণ্ডলী ও অভিভাবকদের আন্তরিকতার কারণে অত্র বিদ্যালয়ের লেখাপড়ার মান ভাল। ৯টি শ্রেণিকক্ষে ৫ শতাধিক শিক্ষার্থীর বিদ্যালয়ে নিয়মিত ক্লাস করে। এ বছর পিএসসি পরীক্ষায় শতভাগ উত্তীর্ণ হয়েছে। বিদ্যালয়ে ৭ জন শিক্ষক নিয়োগপ্রাপ্ত রয়েছেন। এরমধ্যে ৩ জনেই মাতৃত্বকালীন ছুঁটিতে রয়েছেন। বর্তমানে মাত্র ৪ জন শিক্ষক দিয়ে পাঠদান করতে আমাদের খুব কষ্ট হয়। ৪ জন শিক্ষকের পক্ষে ৫ শতাধিক শিক্ষার্থীকে পাঠদান করানো কষ্টসাধ্য। আমরা বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি, কোন কাজ হয়নি।’

অভিভাবকরা বলেন, উপজেলার অনেক স্কুলে ৬টি শ্রেণিকক্ষের জন্য ১০/১২ জন শিক্ষক দায়িত্বে রয়েছেন। অথচ মেরাখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪ জন শিক্ষক দিয়ে এখন পাঠদান করানো হচ্ছে। শিক্ষকের অভাবে ভালো স্কুলটি খারাপ হয়ে যাচ্ছে। স্কুলের নব-নির্বাচিত সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান মিন্টু কুমার সেন বলেন, নতুন শিক্ষক বাড়ানোর বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউএনও ও শিক্ষা অফিসারকে অবগত করা হবে।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তপন কুমার চৌধুরী জানান, ‘পুরো উপজেলার অনেক স্কুলে আমাদের শিক্ষক স্বল্পতা রয়েছে। শিগগিরই ওই স্কুলের শিক্ষক ঘাটতি পূরণ করা হবে।’

এম/এস


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ