• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০২:০৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
ডা. শাহিনের প্রচেষ্টায় খুলনা বিভাগে প্রথম মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বৃষ্টির প্রত্যাশায় গোয়ালন্দে ইস্তেস্কা নামাজ আদায় লামায় চাঁদা আদায়কালে অস্ত্র সহ যুবক আটক বাঙ্গালহালিয়াতে সুধীর বিশ্বাসের মৃত্যুতে বিভিন্ন মহলের শোক প্রকাশ কাপ্তাই থানা পুলিশ এর অভিযানে গ্রেফতারি পরোয়ানা ভুক্ত আসামি নরসিংদী হতে  আটক বাংলাদেশের অনগ্রসর ত্রিপুরা জাতির উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে বাত্রিকস- হিরন জয় ত্রিপুরা পেনশন স্কিমে সুবিধাভোগীর সম্পৃক্ততা বাড়াতে কাজ করছে মানিকছড়ি প্রশাসন মানিকছড়িতে অবৈধ বালু উত্তোলন করায় অর্ধ লাখ টাকা জরিমানা বান্দরবানে বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ আদায় কাপ্তাইয়ে তথ্য আপার উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত

তিন মাসে খেলাপি ঋণ বাড়ল সাড়ে তিন হাজার কোটি

ডেস্ক রিপোর্ট / ৮৯০ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : সোমবার, ২৪ আগস্ট, ২০২০

ডেস্ক রিপোর্ট : বিভিন্ন সুবিধা দেওয়ার পরেও জুন শেষে খেলাপি ঋণ বেড়েছে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা। এসব সুবিধার মধ্যে ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ গ্রাহককে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত না করা ও বিদ্যমান নীতিমালার আওতায় খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিলে বিশেষ ছাড় অন্যতম। তার পরেও মার্চ থেকে জুন প্রান্তিকে ৩ হাজার ৬০৬ কোটি খেলাপি ঋণ বৃদ্ধি পেয়ে কু-ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯৬ হাজার ১১৬ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংক খেলাপি ঋণের সর্বশেষ অনুযায়ী, চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ব্যাংকগুলোর বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১০ লাখ ৪৯ হাজার ৭২৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপির পরিমাণ ৯৬ হাজার ১১৬ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৯ দশমিক ১৬ শতাংশ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ব্যাংকগুলোর বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ছিল ১০ লাখ ২৪ হাজার ৪৯৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপির পরিমাণ ৯২ হাজার ৫১০ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৯ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। এ হিসাবে তিন মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৩ হাজার ৬০৬ কোটি টাকা। এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে ১০ লাখ ১১ হাজার ৮২৮ কোটি টাকা ঋণের মধ্যে খেলাপির পরিমাণ ছিল ৯৪ হাজার ৩৩১ কোটি টাকা বা ৯ দশমিক ৩২ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০১৯ সালে জুনে শেষে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ ছিল ১ লাখ ১২ হাজার ৪২৫ কোটি টাকা। যা মোট বিতরণ করা ঋণের ১১ দশমিক ৬৯ শতাংশ। সেই হিসাবে গত বছরের জুনের তুলনায় এবছর জুনে অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ কমেছে ১৬ হাজার ৩০৯ কোটি টাকা।

বিশ্বব্যাপি ছড়িয়ে পড়া মহামারী করোনাভাইরাস চলতি বছরের মার্চ থেকে দেশে আঘাত হানে। এতে ব্যবসা -বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়ে। এ সঙ্কটকালে ঋণ খেলাপিদের বিশেষ সুবিধা দেয় সরকার; আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কিস্তি না দিলেও খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত হতে হবে না। এর আগে করোনাভাইরাসের কারণে জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ঋণ শ্রেণিকরণে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। মহামারীর প্রকোপ দীর্ঘায়িত হওয়ায় আরও তিন মাস বর্ধিত করে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়। অর্থাৎ চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোনো ঋণের শ্রেণিমান পরিবর্তন করা যাবে না। যে ঋণ যে শ্রেণিতে আছে, সে অবস্থাতেই থাকবে।

এর আগে ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ কমাতে সরকারের নির্দেশনায় পুনঃতফসিলে গণছাড় দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্টে এক বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ১০ বছরে ঋণ পরিশোধের সুযোগ পেয়েছে ঋণখেলাপিরা। ২০১৯ সালের ১৬ মে নীতিমালায় এ ছাড় দেয়ার পর থেকে বিশেষ বিবেচনায়সহ গেল বছর পুনঃতফসিল হয়েছে ৫০ হাজার কোটি টাকার বেশি খেলাপি ঋণ। এতো সব সুবিধা নেয়ার পরও ব্যাংক খাতের কমছে না খেলাপি ঋণের পরিমাণ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ