রাজশাহীর পুঠিয়ায় ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে ‘নিবন্ধনহীন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার নিয়ে সংবাদ পরিবেশন করায় জাতীয় দৈনিক স্বদেশ প্রতিদিন পত্রিকার রাজশাহী ব্যুরো প্রধান মোঃ আল আমিন হোসেনকে হুমকি প্রদানের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে নিরাপত্তার শঙ্কায় শুক্রবার (১০ জুন) আরএমপি’র মতিহার থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন তিনি।
সাংবাদিক আল আমিন হোসেন এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘নিবন্ধনহীন পুঠিয়া ডায়াবেটিস সেন্টার এন্ড প্যাথলজির মালিক ডাঃ মিলনকে মুঠোফোনে প্রতিষ্ঠানটির নানা অনিয়ম নিয়ে ১০ জুন শুক্রবার বক্তব্য নেওয়ার জন্য ফোন দিলে তিনি আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে হত্যার হুমকি দেন। বিষয়টি নিয়ে শুক্রবার রাজশাহী মেট্রোপলিটন এলাকার মতিহার থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছি।
এদিকে, সাংবাদিককে হুমকির ঘটানায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ।
রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের সভাপতি এশিয়ান টিভি রাজশাহী প্রতিনিধি আবু কাওসার মাখন ও সাধারণ সম্পাদক দৈনিক গণকন্ঠ স্টাফ রিপোর্টার মোঃ রেজাউল করিম এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, গণমাধ্যমকর্মীরা পেশাগত দায়িত্ববোধ থেকে বিভিন্ন অনিয়ম, অসঙ্গতি নিয়ে তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে সংবাদ পরিবেশন করে থাকেন।
পরিবেশিত সংবাদের বিষয়ে কারো ভিন্নমত কিংবা আপত্তি থাকলে যথাযথ প্রক্রিয়ায় তার প্রতিবাদ জানানোর সুযোগ রয়েছে। কিন্তু তার পরিবর্তে সাংবাদিককে হুমকি-ধমকি কিংবা নানাভাবে হয়রানির চেষ্টা পক্ষান্তরে গণমাধ্যমকর্মীদের পেশাগত নিরাপত্তার জন্য হুমকি স্বরূপ।
সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে সাংবাদিক আল আমিন হোসেনকে হুমকির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিকে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান।
পুঠিয়া-দূর্গাপুর-বাঘা-চারঘাট উপজেলা প্রাইভেট ক্লিনিক মালিক সমিতির সভাপতি এস.এম আ. রহমান জানান, তার ডায়াগনস্টিক সেন্টার আমাদের মালিক সমিতির অন্তর্ভুক্ত না। আর এই ক্লিনিকের কোন বৈধ্য কাগজপত্র নেই বলে জানান তিনি।
এবিষয়ে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুল মতিনকে একাধিকবার ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
সিভিল সার্জন ডাঃ আবু সাঈদ মোহাম্মদ ফারুক বলেন, আমরা ইতোমধ্যে অনুমোদনহীন বিভিন্ন অবৈধভাবে গড়ে ওঠা অনেক ক্লিনিক বন্ধ করে দিয়েছি। ধারাবাহিকভাবে সব অবৈধ ক্লিনিক বন্ধ করা হবে। অবৈধ ক্লিনিকে নানা অনিয়ম দুর্নীতি বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপসহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পুঠিয়া উপজেলার উক্ত ক্লিনিকের বিষয়টি আমরা দেখছি।
এম/এস