রাজশাহীর আমের বিদেশ যাত্রা শুরু হয়েছে। প্রথম ধাপে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশ সুইডেন যাচ্ছে গোপালভোগ।
শুক্রবার (২৭ মে) রাজশাহী নগরীর জিন্নাহ নগর এলাকার একটি বাগান থেকে ৫০০ কেজি গোপালভোগ আম নামানো হয়েছে। ওই বাগানটি
রাজশাহী এগ্রো ফুড প্রডিউসার সোসাইটির সভাপতি আনোয়ারুল হকের।
তিনি জানান, শুক্রবার তার বাগান থেকে ৫০০ কেজি গোপালভোগ আম নামিয়েছেন। এই আমের পুরোটাই সুইডেন যাবে।
রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান এনজেল গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সৈয়দ এন হোসেন সজলের মাধ্যমে প্রথম দফায় তিনি এই আম পাঠাচ্ছেন।
আনোয়ারুল হক জানান, এবার তিনি নিজের বাগানের ১ লাখ আম ব্যাগিং করেছেন। কেবল নিজের বাগান থেকেই ৩০ টন আম রপ্তানি করতে পারবেন।
তিনি বলেন, তারা একটি গ্রুপ দীর্ঘদিন ধরেই রাজশাহী থেকে আম রপ্তানি করে আসছেন। কিন্তু এবার অনেকেই রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন করেন নি। কেউ কেউ সীমিত করেছেন। তার বাগানেও পর্যাপ্ত রপ্তানিযোগ্য আম আছে।
সোসাইটি থেকে এবার ৫০ টন আম রপ্তানির লক্ষ ধরে রেখেছেন। ধাপে ধাপে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আটটিটি দেশে রাজশাহীর আম যাবে।
গত ১৩ মে থেকে গুটি আম নামানোর মধ্য দিয়ে রাজশাহীর আম বাণিজ্য শুরু হয়েছে। জেলা প্রশাসনের বেধে দেয়া সময়সীমা অনুযায়ী, ২০ মে থেকে গোপালভোগ ও ২৫ মে থেকে লক্ষণভোগ, লখনা এবং রাণীপছন্দ নামছে। হিমসাগর ও ক্ষিরসাপাত নামবে ২৮ মে থেকে।
এছাড়া আগামী ৬ জুন থেকে ল্যাংড়া, ১৫ জুন থেকে আম্রপালি ও ফজলি, ১০ জুলাই থেকে আশ্বিনা ও বারি আম-৪, ১৫ জুলাই থেকে গৌরমতি এবং ২০ আগস্ট থেকে ইলামতি জাতের নাম।
রাজশাহী জেলা কৃষি দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, রাজশাহীতে চলতি মৌসুমে ১৮ হাজার ৫১৫ হেক্টর জমিতে আমবাগান রয়েছে। আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ১৪ হাজার ৬৭৬ টন।
সেই হিসাবে চলতি মৌসুমে রাজশাহীতে ৯০০ কোটি টাকার বেশি আম বেচাকেনা হবে বলে জানিয়েছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোজদার হোসেন।
এম/এস