গতকাল ২৪ মে মঙ্গলবার বিকাল আনুমানিক ৫ টার দিকে মাগুরাজেলার রাঘবদার ইউনিয়নের বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের গরুখামারি ও গরুব্যবসায়ী মো আবু সাঈদ মোল্লা (৫০) এর উপর পার্শবর্তী বেরোইল গ্রামের তৌহিদ বিশ্বাসের (২৮) নেতৃত্বে একদল সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায় এবং তাকে মারাত্মকভাবে আহত করে ও দোকানে থাকা গরু বিক্রির নগদ ৬ লক্ষ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে আহত আবু সাঈদকে দ্রুত মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, বর্তমানে তার অবস্থা সংকটমুক্ত হলেও মাথার ক্ষতস্থানে তিন তিনটি সেলাই করা হয়েছে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন রয়েছে। এদিকে আবু সাঈদের বালিয়াডাঙ্গা বাজারে অবস্থিত দোকানের মালামাল ও দোকানে রাখা ইলেক্ট্রনিক জিনিসপত্রগুলোও ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছে হামলাকারীরা। আবু সাঈদ জানান ” আমাকে হত্যা ও টাকা লুট করার উদ্দেশ্যেই মূলত আমার উপর হামলা করা হয়েছে, আমি ও আমার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে আছি।
প্রতক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানা যায়, ঘটনার দিন সকালবেলা একটি গরু কেনাবেচাকে কেন্দ্র করে অভিযুক্ত তৌহিদ বিশ্বাসের সাথে আবু সাঈদের ধস্তাধস্তি হয় এবং তৎক্ষণাৎ স্থানীয় পান্নু মেম্বার ও বেরোইল গ্রামের মাতবর জাহিদ ও ফারুকের মধ্যস্থতায় বিষয়টি মীমাংসা করা হয়। কিন্তু সন্ত্রাসী তৌহিদ বিশ্বাস তার ভাড়া করা গুন্ডা বাহিনীর সদস্য আক্তার বিশ্বাস, আনিস বিশ্বাস, রাশেদ, নাসিম, জসিম, সুজন সিমরাম, ইমরান, আনোয়ারকে নিয়ে তিনটি মোটরসাইকেল যোগে রড, হাতুড়ি ও জিআই পাইপ নিয়ে দোকানে এসে এলোপাথাড়ি মারধর ও ভাঙচুর শুরু করে।
আবু সাঈদ মোল্লার পিতা হাবিবুর রহমান জানান ” আমরা খুব আতংকের মধ্যে আছি, আমি মাগুরা প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচারের জোর দাবি জানাচ্ছি এবং আমাদের লুট হওয়া টাকা উদ্ধারের জন্য আবেদন জানাচ্ছি।
এদিকে ঘটনার পরপরই লক্ষীপুর পুলিশ ফাঁড়ির এস আই আব্দুল খালেক ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেন এবং ভুক্তভুগি পরিবারকে মাগুরা সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করতে বলেন বলে তিনি জানান। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল।
এম/এস