খাগড়াছড়ি মাটিরাংগা উপজেলাধীন তবলছড়ি ইউনিয়নে কিশোরীকে (১৭) ধর্ষণের অভিযোগে একই এলাকার মো:সোহাগকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের নির্দেশে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন মাটিরাংগা থানার অফিসার ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ আলী।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী কিশোরীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মাটিরাংগা উপজেলার তবলছড়ি ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড গৌরাঙ্গ পাড়ায় গ্রামে গত ১৩মে শুক্রবার দিবাগত রাত ১০:৩০ ঘটিকায় অপ্রাপ্ত বয়স্ক কিশোরীকে তাঁর বাড়ি থেকে বিয়ের জন্য প্রলুদ্ধ করে জন্মনিবন্ধন সনদও কাপড়চোপড় নিয়ে বের হতে বল্লে সরল বিশ্বাসে ঘর থেকে ভিকটিম নিজেদের বাড়ির উঠানে আসলে সেখান থেকে ভিকটিমকে একই গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে(সাবেক কবির মেম্বারের ভাগিনা) বখাটে অভিযুক্ত সোহাগ জোর করে অপহরণ করে এবং ভিকটিমের বাড়ির উঠান থেকে অর্ধ কিলোমিটার উত্তর দিকে টিলায় জংগলের মধ্যে নিয়ে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। জংগল থেকে বের হয়ে কান্নাকাটি করে ও ভিকটিম নিজেকে শেষ করে দেয়ার চেষ্টা করতে চাইলে আলাউদ্দিন নামের এক যুবকসহ স্থানীয় লোকজন ভিকটিমকে উদ্ধার করে তার পরিবারের হাতে বুঝিয়ে দেয়। রাতেই ঘটনা জানাজানি হলে কিশোরীর মা ধর্ষণের অভিযুক্ত সোহাগের পরিবারের নিকট বিষয়টা নিয়ে কথা বলতে গেলে উল্টা মেয়ের চরিত্র নিয়ে আপত্তিকর কথাবার্তা বলে মেয়ের মাকে তাড়িয়ে দেয়,ভুক্তভোগীর পরিবার জনপ্রতিনিধিদেরকে জানাইলে ছেলেপক্ষের সাথে কথা বলতে চাইলে ছেলের মামা সাবেক কবির মেম্বার কাউকে পাত্তা দেয়নি বলেও অভিযোগ রয়েছে, ছেলে পক্ষ প্রভাবশালী হওয়ায় সামাজিক ভাবে কোন বিচার না পেয়ে ভিকটিমের পরিবার মাটিরাংগা থানার অফিসার ইনচার্জকে ফোনে জানাইলে এবং ধর্ষণকারী এলাকা থেকে পালাইতে পারে বলে থানাকে জানাইলে মাটিরাঙ্গা থানার ওসির নির্দেশে তবলছড়ি তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ সোহাগকে পুলিশি নজরদারিতে রাখে। পরবর্তীতে ভিকটিম ও তার পরিবার মাটিরাংগা থানায় উপস্থিত হয়ে ভিকটিমের বড় ভাই মো: জোবায়ের হোসেন বাদী হয়ে দায়েরকৃত অভিযোগের ভিত্তিতে মাটিরাঙ্গা থানার মামলা নং ০৭, তারিখঃ ১৬.০৫.২০২২, ধারাঃ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সংশোধিত২০০৩) এর ৭/৯(১) রুজু হয়।।
মামলার প্রক্রিয়া শেষ করে পুলিশ আসামি সোহাগকে গ্রেফতার করত একই তারিখ ১৬.০৫.২০২২ সন্ধ্যার সময় খাগড়াছড়ি আদালতে প্রেরণ করে। খাগড়াছড়ি পৌঁছাতে দেরি হওয়ায় রাতে আদালত না বসলেও অভিযুক্ত আসামী সোহাগকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়,
ভিকটিমের অভিযোগ বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ইতিপূর্বেও আরো দুইবার উক্ত কিশোরীকে ধর্ষণ করে প্রতারক সোহাগ, আসামী সোহাগের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি দাবী করেন কিশোরী, ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষা করানোর জন্য খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন মাটিরাংগা থানার অফিসার ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ আলী।
এ প্রসংগে আলাপচারিতায় ওসি মাটিরাঙ্গা থানা বলেন, অপরাধ করে কেউ পার পাবে না, অপরাধী যেই হোক না কেন, তার পরিচয় হলো অপরাধী এবং অপরাধীকে অবশ্যই দেশের প্রচলিত আইনের আওতায় আসতে হবে।