ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার ঢালচর ইউপি নির্বাচন বন্ধ হওয়ায় আনন্দ মিছিল করলেন ঢালচর ইউপি চেয়ারম্যানের কর্মী সমর্থকরা। জানা যায়, বিভিন্ন কারণে স্থগিত থাকা ১৬টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন ছিলো আগামী ১৫ জুন। তাঁর মধ্যে চরফ্যাশন উপজেলার বিছিন্ন দ্বীপ ঢালচর ইউনিয়ন পরিষদের নামও রয়েছে। এদিকে ভোটার জটিলতায় ১২ মে ১২ টি ইউনিয়ন পরিষদের নাম বাদ দেয় বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবাল। তার মধ্যে ঢালচর ইউনিয়ন পরিষদের নামও রয়েছে। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের প্রজ্ঞাপন পেয়ে বৃহস্পতিবার (১৪ মে) উপজেলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ঢালচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম হাওলাদারের ছোট ভাই ইশ্রাফিলের নেতৃত্ব এ আনন্দ মিছিল করা হয়। এ সময় শত শত কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে ঢালচর বাজারে এ আনন্দ মিছিল করেন।
তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুহুর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ দলের নেতা-কর্মী ও সাধারণ সচেতন মহলের মাঝে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। চরম সমানালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ অফিস, বাজার, পাড়া-মহল্লায় এবং ব্যক্তিগত পারস্পারিক মুঠোফোন আলাপচারিতায়ও। তবে ঢালচর এলাকার সাধারণ ভোটাররা ঢালচরে যাতে নির্বাচন হয়। এবং তারা যেন নিজের পছন্দের প্রার্থীকে কেন্দ্র গিয়ে ভোট দিতে পারেন তার জন্য ভোলা ৪- আসনের সাংসদ সদস্য যুব ক্রীড়া মন্ত্রনালয়ের সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপি’র কাছে দাবী জানান। এ বিষয় ঢালচর’র ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম হাওলাদার মিছিলের কথা স্বীকার করে বলেন, প্রতিপক্ষের লোকজন বিভিন্ন মহলে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা রটাচ্ছে।চরফ্যাশন উপজেলায় নির্বাচন অফিসার রফিকুল ইসলাম জানান, ভোটার বিন্যাসের ফলে ঢালচরের নির্বাচন বন্ধ। কিন্তু ওই ইউনিয়নে যে আনন্দ মিছিল হয়েছে তা আমার জানা নাই। হয়তোবা আনন্দ মিছিলে সালাম হাওলাদারের লাভ স্বার্থক আছে।
এম/এস