পৃথক দুটি স্যাটেলাইট চ্যানেল কর্তৃক আয়োজিত জাতীয় হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় দেশসেরা হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেছে কক্সবাজারের কৃতি সন্তান মুশফিকুর রহমান নিবরাসি।
দেশের জনপ্রিয় দুটি স্যাটেলাইট চ্যানেল News 24 ও Channel 24-এর পৃথক আয়োজনে যথাক্রমে চ্যাম্পিয়ন ও প্রথম রানারআপ হয়ে কক্সবাজার শহরকে জাতির সামনে নতুনভাবে উপস্থাপন করেছে মুশফিক। চ্যাম্পিয়নের পুরস্কার হিসেবে সে পেয়েছে নগদ তিনলক্ষ টাকা ও উমরাহ্ পালনের সুযোগ এবং অপর প্রতিযোগিতায় রানারআপের পুরস্কার হিসেবে পেয়েছে নগদ একলক্ষ টাকা ও নানা মূল্যবান পুরস্কার।
এই দুটি প্রতিযোগিতার প্রত্যেকটি পর্বে বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী দেশ ও দেশের বাইরের শ্রেষ্ঠ কারিগণ মুশফিকুর রহমানের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন। অনেকেই বলেছেন—
কক্সবাজারবাসীর দুটি মূল্যবান সম্পদ রয়েছে—
১. মুশফিকুর রহমান নিবরাসি
২. কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত
আরও বলেছেন— কক্সবাজারের সমুদ্রে যেমন রয়েছে উপভোগ্য ঢেউ, তেমনই মুশফিকের কণ্ঠেও রয়েছে মোহনীয় ঢেউ।
এছাড়া, আরও নানা ইতিবাচক মন্তব্যে কক্সবাজার জেলা ও মুশফিককে প্রশংসার জোয়ারে ভাসিয়েছেন উপস্থাপক ও বিচারকগণ।
উল্লেখ্য যে, মুশফিকুর রহমান এর আগেও জেলার বহু হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় ১ম স্থান অধিকারের সৌভাগ্য অর্জন করেছে।
প্রতিষ্ঠা পাওয়ার অল্প সময়ের মধ্যে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সাড়াজাগানো কক্সবাজার জেলার স্বনামধন্য দিনি ও আধুনিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মা’হাদ আন-নিবরাসের মেধাবী শিক্ষার্থী এই মুশফিকুর রহমান নিবরাসি।
মুশফিকুর রহমান নিবরাসিকে Channel 24-এর ফাইনাল-পরবর্তী টকশো-তে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল— তোমার এমন সাফল্যের পিছনে কার অবদান সবচেয়ে বেশি? মুশফিক উত্তরটি দিতে বেশিক্ষণ ভাবলোই না। বললো— আমার এতটুকু আসার পিছনে আমার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মা’হাদ আন-নিবরাসের সম্মানিত পরিচালক মাওলানা জিয়াউল হকের ভূমিকাই সবচেয়ে বেশি।
মুশফিকুর রহমানের এই অর্জনকে নিজেদের অর্জন হিসেবে দেখছেন সকল কক্সবাজারবাসী। মুশফিকের জন্য দেশ ও দেশের বাহির থেকে দু’আ ও শুভকামনা জানাচ্ছেন অনেকেই।
মা’হাদ আন-নিবরাসের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক মাওলানা জিয়াউল হক, মা’হাদের অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ ও মুশফিকের গর্বিত পিতামাতা মুশফিকের জন্য সকলের নিকট দুআ কামনা করেন।
এম/এস